বিজেপির ভোকাল টনিক ট্রেনার এখন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির দলবদলু নেতাদের মধ্যে একাধিক নেতাকে নিয়ে যেমন বিড়ম্বনায় বিজেপি, মিঠুনকে (Mithun Chakraborty) নিয়েও তাই। কোথায় এই দলবদলু, তিনটি বিরাট আর্থিক প্রতারণা (fraud) মামলায় অভিযুক্ত মিঠুন চক্রবর্তীকে দিয়ে কোন কাজ করাবেন, খুঁজতে ব্যস্ত বিজেপি। তবে দল যা বলবে মিঠুন যে সেটা করতে বাধ্য। এবার সেই সত্যই স্পষ্ট তাঁর বিরুদ্ধে তাঁরই এক সময়ের সচিব মুখ খোলায়। যে মারাত্মক অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে তিনি করেছেন তার পরে মিঠুন চক্রবর্তীর অবিলম্বে গ্রেফতারি দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বাংলার মানুষ বিজেপি শাসিত রাজ্যে বারবার আক্রান্ত, এমনকি খুনও হতে হচ্ছে। অথচ চলচ্চিত্রে বাংলার মন জয় করা মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করছেন – সব মিথ্যে। সেই বিজেপির তাবেদারির মন্ত্র মিঠুন যে চাপে পড়েই দিচ্ছেন তা স্পষ্ট তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকেই। সারদা (Saradha), রোজ ভ্যালি (Rose Valley), অ্যালকেমিস্ট (Alchemist) চিটফান্ডে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করা মিঠুন যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাত থেকে বাঁচতে বিজেপির আশ্রয়ে লুকিয়েছেন, সেই সত্য ফাঁস করেছেন তাঁর তৎকালীন সচিব।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল (ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) হয়েছে, যেখানে মিঠুন চক্রবর্তীর সচিব দাবি করছেন বিভিন্ন সংস্থা থেকে টাকা সংগ্রহের কাজ তাঁকে দিয়েই করাতেন মিঠুন। সুদীপ্ত সেন থেকে গৌতম কুণ্ডুর থেকে অর্থের বিনিময়ে কী কী করেছিলেন মিঠুন (Mithun Chakraborty), সেই পর্দাফাঁস করেন এই ব্যক্তি। তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর (ED) চিঠি পাওয়ার পর্দাও ফাঁস করেন তিনি।

এরপরেও দলবদলু মিঠুন বিজেপির ছায়ায় গিয়ে যেভাবে বাংলাকে ক্রমাগত বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে অপমান করে চলেছেন, তাতে সরব তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, অ্যালকেমিস্ট, সারদা, রোজ ভ্যালিতে অভিযুক্ত মিঠুন চক্রবর্তীকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করত, ঘাড় ধরে নিয়ে যেত। তার থেকে বাঁচতে তৃণমূলের রাজ্যসভার (Rajyasabha) সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নরেন্দ্র মোদির জুতো চাটতে গিয়েছেন গদ্দার, বেইমান।

আরও পড়ুন: অপরাজিতা বিল-এ আপত্তি! রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ফেরৎ আসায় স্পষ্ট বিজেপির অভিসন্ধি
এরপরেও কেন মিঠুন চক্রবর্তী গ্রেফতার হবেন না, প্রশ্ন তুলে কুণাল আরও বলেন, তদন্ত এড়াতে বিজেপির পায়ে গিয়ে পড়েছে। পরিবারে ধর্ষণে অভিযুক্ত। হাতির করিডোরের উপর অবৈধ নির্মাণ। বাংলায় তাঁকে বিজেপি গলায় বকলস বেঁধে পাঠিয়েছে। বাকিরা কিছু ভুলে যায়নি। অবিলম্বে তিনটি চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার করা উচিত। অভিনেতা, শিল্পী মিঠুন প্রণামের যোগ্য। কিন্তু মানুষ মিঠুন বেইমান, গদ্দার, গ্রেফতারি এড়াতে বিজেপির জুতো চাটতে গিয়েছে।

–

–

–
–
–

–

–
–