দেশজুড়ে জঙ্গি নেটওয়ার্ক গুঁড়িয়ে দিতে তৎপরতা বাড়াচ্ছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। সেই অভিযানের জেরে বুধবার বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে গ্রেফতার করা হল এক মহিলাকে। মনে করা হচ্ছে তিনি পাকিস্তানী জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সদস্য। গুজরাট পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড (ATS) জানায়, গ্রেফতার হওয়া ওই মহিলার নাম সামা পারভিন (৩০)। তিনি আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। গত তিন বছর ধরে ভাইয়ের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন।

গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ রমেশভাই সাংভি বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে সামার গ্রেফতারির কথা জানান। তাঁর কথায়, “পাকিস্তান তো বটেই, দেশের অন্দরেও সক্রিয় রয়েছে সন্ত্রাসবাদী চক্র। তাই দেশজুড়ে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।” ATS সূত্রের খবর, সামা পারভিন দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইনে বিভিন্ন মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং আল কায়েদার মতাদর্শে প্রভাবিত ছিলেন। তাঁর মোবাইল ফোন থেকে একাধিক পাকিস্তানি আধিকারিকের নম্বর পাওয়া গিয়েছে। নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন পাকিস্তান থেকে পরিচালিত বিভিন্ন চ্যানেলের সঙ্গেও।

সামার গ্রেফতারি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য বলেই মনে করছে প্রশাসন। এই নিয়ে গুজরাট ATS গত কয়েক দিনে মোট পাঁচ জন জঙ্গি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে দিল্লির মহম্মদ ফইক, আহমেদাবাদের মহম্মদ ফরদিন, মোসাদার সইফুল্লা কুরেশি ও নয়ডার জেশান আলি। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতে আল কায়েদার শাখা বিস্তারের লক্ষ্যে অনলাইন মাধ্যমে মৌলবাদ প্রচার এবং নেটওয়ার্ক তৈরি করছিল তারা।

ATS আরও জানিয়েছে, ধৃতরা ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক-সহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে ধর্মীয় বিভাজনমূলক কনটেন্ট ছড়ানোর চেষ্টা করছিল। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু মৌলবাদী ও নিষিদ্ধ সংগঠনের বইপত্রও। ধৃতদের বিরুদ্ধে UAPA-র একাধিক ধারার পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-এর ১১৩, ১৫২, ১৯৬ এবং ৬১ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

সামা পারভিনকে বুধবার আদালতে তোলা হচ্ছে। তদন্তে নামা গোয়েন্দা সংস্থাগুলির অনুমান, এই চক্রের পেছনে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের বড় কোনও মাথা থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকেও যুক্ত করা হয়েছে তদন্তে। আরও পড়ুনঃ সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল চোর, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইন্দাসে চুরির কিনারা পুলিশের

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–