সব থেকে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে অমিত শাহর (Amit Shah) ইস্তফার দাবিতে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে তোপ দাগলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee)। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ইলেকশন কমিশন কি তৃণমূল কংগ্রেসের অধীনে? বিএসএফ, সিআইএসএফ কি তৃণমূলের অধীনে? চারজন জঙ্গি ঢুকল দেশে, সেটা কি তৃণমূল ঢুকিয়েছে?” অভিষেকের কথায়, দেশের সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ যদি হয়ে থাকে, তাহলে দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অমিত শাহের নেওয়া উচিত। এই দায় নিয়ে তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিৎ বলে সুর চড়ান অভিষেক।

কেন্দ্র বারবার বাংলা দিয়ে গরু ও কয়লা পাচারের অভিযোগ তোলে। তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “গরু তো মশা-মাছি বা পিঁপড়ে নয় যে কাঁটাতারের তলায় দিয়ে গলে ঢুকে যাবে। বিএসএফ, সিআইএসএফ-এর মদত ছাড়া এটা অসম্ভব। অথচ এত বছরের তদন্তে এখনো পর্যন্ত একজন বিএসএফ বা সিআইএসএফ অফিসারকেও ইডি বা সিবিআই ডাকেনি।” এর পরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, “একটা আস্ত গরু এপারের সীমান্ত থেকে ওপারে চলে যাচ্ছে, আর সেটা কেউ দেখছে না? সিআইএসএফ বা বিএসএফ কাউকে কি এখনও পর্যন্ত ধরা হয়েছে? ডেকেছে কেউ?” অভিষেকের (Abhishek Banerjee) দাবি, পাচারের টাকা কার পকেটে যাচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করুক কেন্দ্রীয় সংস্থা।

পহেলগামও জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ টেনে এনে অভিষেক বলেন, “পহেলগাম হামলার জন্য দায়ী কে? আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে দায়ী করেন, বলেন বর্ডার থেকে লোক ঢোকান। জম্মু-কাশ্মীর বর্ডার কার হাতে? জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ কার হাতে? বাংলাদেশ বর্ডার থেকে কার ব্যর্থতায় অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকেছে? কে ঢুকিয়েছে?” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “অমিত শাহের আমলে একের পর এক জঙ্গি হামলা, অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু তিনি বাংলায় গরু পাচারের কথা বলে রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলছেন। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, এসবের দায় অমিত শাহ কবে নেবেন? তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত। আগে ইস্তফা দিন, তারপর অন্যদের প্রশ্ন করুন।”

মোদি-ট্রাম্প কথার প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “এই নরেন্দ্র মোদি বলতেন ২০১৪-এর আগের রিমোট কন্ট্রোল সরকার। মনমোহন সিং-কে দশ জনপথ থেকে পরিচালনা করা হয়। আরে তখন তো অন্তত রিমোট কন্ট্রোলটা দিল্লিতে ছিল। এখন ভারতের রিমোট কন্ট্রোলটা ওয়াশিংটনে রাখা আছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী কেউ বলছে না ডোনাল্ড ট্রাম্প যা বলেছে তা মিথ্যে। এত দুর্বল সরকার আগে দেশ দেখেনি। মজবুত সরকার নয়, মজবুর সরকার। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সরকার মজবুর হয়ে গেছে।”

অপারেশন সিন্দুর প্রসঙ্গে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ”গতকাল যে অপারেশন সিন্দুর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে দেখবেন ২০২৯ সালের পরে প্রধানমন্ত্রী আর এগোননি৷ উনি ৯০ মিনিটের ভাষণে ২০০ বার নেহরুর নাম নিয়েছেন৷ আরে মানুষ কংগ্রেসকে ভরসা করেনি বলেই তো বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিল৷ পহেলগাম হয়েছে কার জন্য? কে দায়ী এই ঘটনার জন্য?”
আরও খবর: বাংলার ২জন ভোটারের নাম বাদ দিয়ে দেখুক! নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

–

–

–

–

–

–
–
–
–