প্রবল বর্ষণ ও ডিভিসি-র অপরিকল্পিতভাবে জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না ব্লক। বিস্তীর্ণ চাষের জমি ও ঘরবাড়ি জলের তলায়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।

রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পৌঁছে যান রায়নার বন্যা-বিধ্বস্ত এলাকায়। স্থানীয় ত্রাণশিবিরে গিয়ে নিজে হাতে দুর্গতদের খাবার পরিবেশন করেন তিনি। দুর্গতদের হাতে তুলে দেন পোশাক, শুকনো খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জেলার জেলাশাসক আয়েশা রানি এ, জেলা পুলিশ সুপার সাহেব দাস, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক খোকন দাস এবং স্থানীয় বিধায়ক শম্পা ধাড়া।

মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, প্রতিবার বর্ষায় ডিভিসি জল ছাড়ে, আর তার ফলে পূর্ব বর্ধমান-সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ বন্যায় বিপর্যস্ত হন। কেন্দ্র কোনও সাহায্য করে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই একমাত্র ভরসা। তাঁর নির্দেশে আমরা মানুষের পাশে রয়েছি। তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা, ঘর মেরামতের খরচ এবং কৃষকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ দেওয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ত্রাণশিবিরে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা মন্ত্রীর এই সহানুভূতিশীল মনোভাবের প্রশংসা করেন এবং ত্রাণ পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন। বহু পরিবার এখনও জলবন্দি অবস্থায় থাকলেও প্রশাসনের তরফে সবরকম সহযোগিতা চলছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। রাজ্য সরকারের দ্রুত পদক্ষেপে কিছুটা স্বস্তিতে দুর্গত এলাকা, তবে ডিভিসি-র জলছাড়া বন্ধ না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন – মানহানিকর, অপমানজনক, দেশবিরোধী: বাংলা ভাষার অপমানে সরব মুখ্যমন্ত্রী

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_