সুপারফ্লপ নবান্ন অভিযান। হতাশ বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে সীমাহীন কুকথা। রাজ্য থেকে দেশের রাজধানী- রাজনীতির সব আলো টেনে নিচ্ছে তৃণমূল। বলা ভালো তৃণমূলের (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই পরিস্থিতিতে প্রচারে থাকতে একটি নির্মম মৃত্যুকে সামনে রেখে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। কিন্তু সেই কর্মসূচিও সুপার ফ্লপ। দিনের শেষে মুখ্যমন্ত্রী ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে সীমাহীন আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

চূড়ান্ত হতাশ দলবদলু বিজেপি (BJP) নেতা। নবান্ন অভিযান করতে গিয়ে এক জায়গায় হাতে হাত রেখে বসে থাকা ছাড়া কার্যত আর কিছুই করতে পারলেন না শুভেন্দু অ্যান্ড কোং। দিনের শেষে মেজাজ হারিয়ে পুলিশ কমিশনারকে “শুয়োরের বাচ্চা” বলতেও বাধলো না তাঁর। এটাই অবশ্য প্রথম নয়, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী পুলিশকে বিস্তর কুকথা বলেছেন। তবে এদিন সব সীমা ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। তার মূল কারণ বোধহয়, তাঁর পাশে একমাত্র অগ্নিমিত্রা পাল ছাড়া বিজেপির আর কোনও প্রথম সারির নেতাকে দেখা যায়নি। বেশি সংখ্যক বিজেপি কর্মীও ছিলেন না। এক এক জায়গায় এমন অবস্থা যে বিক্ষোভকারীদের থেকে পুলিশের সংখ্যা বেশি।

আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। ফলে নবান্ন অভিযান তো দূর সাঁতরাগাছি, পার্ক স্ট্রিট, রেড রোডের কাছাকাছি হম্বিতম্বি করে ফিরে যেতে হয়েছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। আর তাতেই বেজায় খাপ্পা শুভেন্দু। বলেন, “মনোজ ভার্মা পুলিশ নন, মমতার ক্যাডার।” এর পরে শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বাংলাদেশ পাঠানোর’ কথা বলেন দলবদলু গদ্দার। আর মনোজ ভার্মাকে “শুয়োরের বাচ্চা” বলে তাঁর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন।

রাজনৈতিক মহলের মতে, একটি তরুণীর নির্মম মৃত্যুকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু সেটা না হওয়ায় হতাশ ও অবসাদগ্রস্ত তিনি। তার জেরে চূড়ান্ত কুকথা।

–

–

–

–
–

–

–