একসময় কলকাতায় টিম বাসে ওঠার সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে মধ্যমা দেখিয়েছিলেন গ্রেগ চ্যাপেল। সেই নিয়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল। রবিবার আবারও যেন সেই ঘটনারই পূণরাবৃত্তি। তবে গ্রেগ চ্যাপেল নন। ঘটনাটা এবার ফুটবল মাঠে। গ্রেগের দেশেরই তারকা ফুটবলার জেসন কামিন্স (Jaso Cummins) এবার ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal) সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মধ্যমা প্রদর্শন করলেন। আর তাতেই উত্তপ্ত ভারতীয় ফুটবল মহল। একজন ফুটবলার হয়ে এমন আচরণ তিনি কীভাবে করেন, সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন প্রাক্তন থেকে বিশেষজ্ঞরা।

ডুরান্ডের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের (Eastbengal) কাছে হেরে গিয়েছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। স্বভাবতই ডার্বি জয়ের পর থেকে সমর্থকরা বাধনহীন উচ্ছ্বাস দেখাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সেটা দেখেই যেন মেজাজ হারান মোহনবাগানের তারকা অজি ফুটবলার জেসন কামিন্স (Jason Cummins)। টিম বাসের মধ্যে থেকেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করেন তিনি। মধ্যমা প্রদর্শন করেন এই তারকা ফুটবলার। এরপরই তাঁর এমন আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অ্যালভিটো ডিকুনহা থেকে মেহতাব হোসেনরা।

অ্যালভিটো ডিকুনহার সাফ কথা, কামিন্স তাঁর ব্যাকগ্রাউন্ডটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বকাপের হলেও তাঁর সংস্কৃতি দেখিয়ে দিয়েছেন। একজন ফুটবলারের এমন আচরণ দেখে তিনিও অবাক। অ্যালভিটো জানান, “যা করেছে একদম খারাপ করেছে। তবে একটা জিনিসে আমি খুব খুশি, যখন এর আগে ইস্টবেঙ্গল হেরেছে, সেই সময় মোহনবাগান সমর্থকরা ইস্টবেঙ্গল প্লেয়ারদের উদ্দেশ্যেও অনেককিছু বলত। প্লেয়াররা কিন্তু কখনও প্রতিক্রিয়া দেননি। এখন এমনটা হতে পারে যে কামিন্স এই কাজটা করেছে হয়ত তাঁকে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা কিছু বলেছে। ইস্টবেঙ্গল জিতেছে বলে তারা আনন্দে অনেককিছু বলতেই পারে। কিন্তু প্লেয়ারদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। এমনভাবে প্রতিক্রিয়া দেওয়া যায় না। ও একজন বিশ্বকাপার। আমার মনে হয় ও নিজের সংস্কৃতি দেখিয়ে দিয়েছ যে কামিন্স কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে। এটা একেবারেই ঠিক নয়”।

একইরকম কথা ইস্টবেঙ্গলের আরেক প্রাক্তনী মেহতাব হোসেনেরও। তিনি ঘটনাটা দেখেননি। কিন্তু শুনেছেন। তাতে কামিন্সের সাপোর্টারদের এমন ব্যবহার মেনে নিতে পারছেন না তিনিও। মেহতাব জানান, “সাপোর্টারের জন্যই আমরা। সমর্থকরাই আমাদের অন্নদাতা। ওরা যদি মাঠে ভিড় না করে, আমাদের উৎসাহিত না করে তবে আমরা শূন্য। একজন ফুটবলারের এমন ব্যবহার নিয়ে আর কিছুই আমার বলার নেই”।

কামিন্সের এই ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও। একজন ফুটবলারের থেকে এমন আচরণ কিছুতেই যেন মেনে নিতে পারছেন না কেউই। কামিন্সের হেরে গিয়ে মেজাজ হারানো নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সকলে।

–

–

–

–

–

–