দেশ হোক বা বিদেশ, সেরার সেরা মানেই সেখানে বাঙালির নাম জ্বলজ্বল করছে। অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যৎ- সময়কাল যাই হোক না কেন জল- স্থল- অন্তরীক্ষে কৃতি বাঙালিদের গর্বের পরিসর কমে না। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল হুগলি জেলার কোন্নগর নবগ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের সন্তান ডঃ গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের (Goutam Chatterjee) নাম। নাসার (NASA) জেট প্রপালশন ল্যাবটারির এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব বাংলার এই বিজ্ঞানী। এবার তাঁকেই ‘নর্থস্টার’ পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করতে চলছে NASA। স্কুল জীবনে হ্যারিকেনের আলোয় পড়াশোনা চালিয়ে নিজের জেদ, নিষ্ঠা আর অদম্য ইচ্ছেশক্তির জোরে আজ পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পথপ্রদর্শকের আসনে ডঃ গৌতম চট্টোপাধ্যায়।

হুগলি জেলার কোন্নগরের নবগ্রাম এলাকার গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর গবেষণা ও অন্যান্য নেতৃত্ব দিয়ে নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের অনুপ্রাণিত করে চলেছেন। নর্থস্টার পুরস্কার নাসার সর্বোচ্চ স্বীকৃতিগুলির মধ্যে একটি। গৌতম শুধু নতুন আবিষ্কারের পথিকৃৎই নন, বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহিত করার জন্য অগ্রণী ভূমিকাও নিয়েছেন। গৌতমের জীবনের গল্প যথেষ্ট অনুপ্রেরণা দেওয়ার মতো। কোন্নগরের নবগ্রামের এক সাধারণ স্কুলের ছাত্র থেকে শুরু করে টাটায় ইনস্টিটিউট অফ ফাউন্ড মেডেল রিসার্চের কাজ আর তারপর দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে নাসায় কর্মরত গৌতম। মহাকাশ গবেষণার জন্য একের পর এক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করে বাংলা তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন বিদেশের বুকে। তবে শুধু গবেষণা নয়, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জগতেও তিনি নিজের ছাপ রেখেছেন। ২০২৪ সালে আনস্ট্রং মডেল রেডিও ওয়ালসের বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্মান পেয়েছেন নিউইয়র্ক থেকে। গৌতম বাবুর দিদি লিলি আচার্য বলেন,’আমরা ছোট থেকেই খুব কষ্ট করে বড় হয়েছি।আর একটা ঘরে সব ভাইবোনেরা পড়াশোনা করেছি। আর ভাই ছোট থেকেই বিজ্ঞান নিয়ে থাকতো। তাঁর ভালোবাসা ছিল বিজ্ঞান।আজ গর্বে বুক ভরে উঠছে যে ভাই আজ এই সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছেছে।’ বোন ডলি চক্রবর্তী বলেন,ভাই এই জায়গায় পৌঁছেও তার পা মাটিতেই আছে। যখন সে এখানে আসে তখন সে একজন সাধারণ মানুষের মতনই সকলের সাথে মেশে। ভাই আগামী প্রজন্মকে সত্যি পথ দেখাচ্ছে।’

শাশ্বতকে সাহসী ভেবেছিলাম, অভিনেতাকে মেরুদণ্ডহীন বললেন বিবেক-পত্নী পল্লবী!

কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন দাস বলেন,এটা সত্যি গর্বের যে একজন বাঙালি আজ আবার বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠ আসন পাচ্ছে।সে আমাদের এলাকার ছেলে আর একটা বাংলা মিডিয়াম স্কুল থেকে পড়াশোনা করে আজ এই জায়গায়।বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বাঙালিরা সব সময় শ্রেষ্ঠ জায়গা নিয়েছে।আর এখন দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে এটা লজ্জার।নবগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপ প্রধান গৌর মজুমদার বলেন,গৌতম আমাদের খুব কাছের ছেলে আর আমাদের এলাকার ছেলে। এটা আজ খুবই গর্বের বিষয়।আর একজন এত উপরে গেলেও যে মাটির মানুষ থাকা যায় সেটা গৌতমকে দেখে জানা যায়।আজ সত্যি গর্বের দিন।আর গৌতমের এই সাফল্যের খবর এলাকায় পৌঁছাতেই খুশির হওয়া কোন্নগরের নবগ্রাম সহ সমগ্র হুগলি জেলায়। এলাকার বাসিন্দারা বলেন,গৌতম আমাদের গর্ব।আমাদের এই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে যে উঠে যে এই জায়গায় পৌঁছানো যায় সেটা গৌতম করে দেখিয়েছে। গৌতম সবার কাছে আইডল।

–

–

–

–

–

–

–
–
–