Saturday, November 15, 2025

এখনও চুপ মোদি! শুল্ক লাগুর পরেও ভারত নিয়ে কুকথা ট্রাম্পের পারিষদদের

Date:

Share post:

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময়ে বারবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ তিনি থামিয়েছিলেন। তখন চুপ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। জবাব দেয়নি তাঁর কোনও মন্ত্রকও। ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক (tariff) লাগু করার পরেও ভারতকে নিয়ে কুকথা বলতে ছাড়ছে না ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) মন্ত্রী থেকে পারিষদ। কেউ বলছেন ভারত উদ্ধত। কেউ বলছেন রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে আমেরিকাকে ফাঁদে ফেলেছে ভারত! কার্যত তাঁদের দাবি, আমেরিকা উঠতে বললে ভারতের ওঠা ও বসতে বললে বসার সিদ্ধান্তই নেওয়া উচিত ছিল। গোটা দেশকে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়ার পরেও মার্কিন ঔদ্ধত্যকে এবারেও কোনও জবাব দিতে ব্যর্থ ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার।

সমস্ত সহ্যের মাত্রা অতিক্রম করে এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা পিটার নাভারো (Peter Navarro) দাবি করলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আদতে ‘মোদির যুদ্ধ’ (Modi’s War)! এমনকি রাশিয়ার সবাই ভারতের বন্ধু নয়, এটাও শিখিয়ে দিতে শুরু করলেন নাভারো। ট্রাম্পের কথা না মানলে গোটা বিশ্বের কাছে ভারতকে বদনাম করার যেন নতুন খেলায় নেমেছেন মার্কিন আধিকারিকরা।

নাভারো দাবি করেন, যেভাবে রাশিয়ার থেকে তেল কিনে রাশিয়াকে যুদ্ধের রসদ যোগাচ্ছে ভারত, তাতে এটা পুতিনের নয়, মোদির যুদ্ধ। ভারত দাবি করে তারা সার্বভৌম (sovereignty) দেশ। তারা যে কোনও দেশ থেকে তেল কিনতে পারে। বাস্তবে ভারতের এই যুক্তির পরে কোনও যুক্তি না পেয়ে কুকথার রাজনীতি শুরু নাভারোর। তিনি বলেন, ভারত দাবি করে তারা বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্র। তবে সেই গণতন্ত্রের মতো পদক্ষেপ নাও। গণতন্ত্রকে পাশে সরিয়ে রেখে স্বৈরাচারীদের সঙ্গে শুতে যাচ্ছে কেন?

তবে শুধুমাত্র নাভারো নয়। এবার ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খুলে মাঠে নেমেছেন মার্কিন কোষাগার পারিষদ স্কট বেসেন্ট (Scott Bessent)। তাঁর মুখে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের দরাদরির দাবি। বেসেন্ট দাবি করেন, রাশিয়ার তেলই শুধু নয়। সমস্যাটা আরও আগে থেকে শুরু। লিবারেশন ডে-র সময় থেকে ভারত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে দরাদরি শুরু করেছিল। সেই সময় থেকেই ভারতের সঙ্গে আমেরিকার শুল্ক (US tariff) চুক্তি আটকে রয়েছে। আমরা কোনও চুক্তিতে যাইনি।

অর্থাৎ মার্কিন পারিষদ স্পষ্ট করে দিলেন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামানো নিয়ে ভারত থেকে যতটুকু মার্কিন বিরোধিতা করা হয়েছিল, সেটা ভালোভাবে নেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে বেসেন্ট স্পষ্ট করে দেন, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক জটিল। রাশিয়ার থেকে তেল (crude oil) কেনার ব্যাপারে ভারতই আমেরিকাকে ফাঁদে ফেলেছিল। হুমকির সুরে এটাও বলে রাখেন, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। আমেরিকা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। দিনের শেষে আমরা আবার একসঙ্গে পথ চলতে পারি।

আরও পড়ুন: ভারতের অন্তত ৬ লক্ষ কোটির বাজারে ধাক্কা মার্কিন শুল্ক নীতির

আশ্চর্যের বিষয়, দুই মার্কিন রাজনীতিকের এত বড় কথার ২৪ ঘণ্টা পরেও ভারতের দিক থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হল না। আমেরিকার উপর পাল্টা শুল্ক বা আমদানি বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত তো দূরের কথা। একটি বিবৃতিও জারি করলেন না নরেন্দ্র মোদি।

spot_img

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...