কুর্সি থেকে সরে গিয়েও ভারতকে নিশানা করতে ছাড়লেন না নেপালের কমিউনিস্ট নেতা কেপি শর্মা ওলি। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার পরে দলের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর পোখরেলকে লেখা এক চিঠিতে দাবি করেছেন, নয়াদিল্লিকে সংবেদনশীল বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করার কারণেই তাঁকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। জানা গিয়েছে, গণবিক্ষোভের আঁচ এড়াতে আপাতত শিবপুরী সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছেন ওলি। সেখান থেকেই তিনি অভিযোগ করেছেন, বিতর্কিত মানচিত্র ও অযোধ্যা প্রসঙ্গে ভারতের বিরোধিতা করার ফলেই ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়েছে তাঁকে।

২০২০ সালের জুনে তাঁর উদ্যোগেই নেপালের পার্লামেন্টে পাশ হয়েছিল সংবিধান সংশোধনী বিল, যাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে। ভারত সরকারের তরফে তখনই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নেপালের এই পদক্ষেপ অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ১৯৫৪ সাল থেকে লিপুলেখ গিরিপথ দিয়ে ভারত-চিন সীমান্ত বাণিজ্য চলেছে, যা ইতিহাসসিদ্ধ।

শুধু মানচিত্র নয়, একই বছরে ওলি দাবি করেছিলেন, অযোধ্যার অবস্থান আসলে নেপালে, আর রাম নেপালি। তাঁর বক্তব্য, কাঠমান্ডুর কাছে একটি গ্রামই নাকি আসল অযোধ্যা। সেই মন্তব্য ঘিরে সে সময় নয়াদিল্লি-কাঠমান্ডু সম্পর্ক চরম তিক্ততায় পৌঁছেছিল। অতিমারির সময়ও ভারতকে নিশানা করে ওলি বলেছিলেন, করোনাভাইরাস নেপালে ছড়িয়েছে ভারতের কারণে, ভারতের ভাইরাস নাকি চিন বা ইতালির ভাইরাসের চেয়েও মারাত্মক। কিন্তু উৎস দেশ চিন নিয়ে নীরব ছিলেন তিনি। দলের সাধারণ সম্পাদককে লেখা চিঠিতে ওলির আক্ষেপ, লিপুলেখ ইস্যুতে ভারতকে চ্যালেঞ্জ না করলে তিনি এখনও প্রধানমন্ত্রী থাকতেন। তাঁর কথায়, অযোধ্যায় রামের জন্ম প্রসঙ্গে ভারতের বিরোধিতা করার কারণেই আমাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে।

আরও পড়ুন- গুজবে কান দেবেন না: পুজোর আগে সতর্ক করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার

_

_

_

_

_

_
_