নেপালের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। রবিবার সেই সুশীলা কার্কি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। দায়িত্ব নিয়েই নিজের ও এই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব স্পষ্ট করে দিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন ছয় মাসের মধ্যে নতুন সরকার নির্বাচনই তাঁর অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে নেপালের জেন জি-কে (Gen Z) গুরুত্ব দিয়েই যে সরকার গঠিত হবে তা স্পষ্ট করতে গিয়েই আন্দোলনে মৃতদের শহিদ ঘোষণার কথা জানালেন নতুন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)।

শুক্রবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর রবিবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। শনিবারই ঘোষণা করা হয় ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নেপালে স্থায়ী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন হবে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ শুরু করতে গিয়ে সেই কথাই স্মরণ করালেন সুশীলা। তিনি স্পষ্ট করে দেন, তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা ক্ষমতা পরীক্ষা করতে আসেননি। তাঁরা এই পদে ৬ মাসের জন্য রয়েছেন। আমরা নতুন সংসদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেব।

নেপালে ২৭ ঘণ্টা টানা কোনও আন্দোলন এর আগে হয়নি বলেই দাবি নতুন প্রধানমন্ত্রীর। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে টানা সেই আন্দোলন চলেছিল। সেই সঙ্গে তিনি জানান, আন্দোলনের পিছনে বিভিন্ন ভাঙচুরে যারা অভিযুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। আন্দোলনকারীরা অরাজকতা নয়, দেশের অর্থনৈতিক সাম্য ও দুর্নীতির অবসান চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: ৬ বার মৃত্যুর পরও ফিরে এসেছেন! বিশ্বাস না হলেও সত্যি

রবিবারই গঠিত হতে পারে নেপালের অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা। সেই সঙ্গে আন্দোলন করতে গিয়ে যে ছাত্র-যুব যারা নিহত হয়েছেন, তাঁদের শহিদ (martyr) সম্মান দেওয়ার বার্তা দেন। শহিদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা সরকারির সাহায্যেরও ঘোষণা করেন তিনি।

–

–

–

–

–