বিজেপি রাজ্য অসমে গিয়ে দেদার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ঘোষণা। ফের ভোটমুখি বিহারে প্রকল্প নিয়ে দরাজ হাজিরা দেশের প্রধানমন্ত্রীর। যেখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার, কেন্দ্রের বরাদ্দ শুধুই সেখানে। অথচ অসম থেকে বিহার যাওয়ার পথে বাংলায় রাত্রিবাস ও সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও বাংলার মানুষের জন্য কিছুই বেরোলো না দেশের প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) ঝুলি থেকে। এমনকি সেনার (Indian Army) অনুষ্ঠানেও বর্তমানের বার্তা না দিয়ে ভবিষ্যতের কথা বলেই প্রধানমন্ত্রীর চলে যাওয়ায় কটাক্ষ বাংলার শাসকদল তৃণমূলের।

বর্তমানের বাংলাদেশ, নেপাল, চিন প্রভৃতি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর মানোন্নয়ন ও তা নিয়ে আলোচনা কলকাতায় হওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পূর্ব ভারতে সেনার গুরুত্ব যে ভারত সরকার নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়ানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে, তা সোমবার থেকে ফোর্ট উইলিয়ামে হওয়া আলোচনাচক্র থেকেই স্পষ্ট। সেই সঙ্গে এই কনফারেন্সে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের (Ajit Doval) উপস্থিতিতে কনফারেন্সের গুরুত্ব বেড়েছে।

সোমবার ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর তিনদিনের এই কনফারেন্সে (Combined Commanders’ Conference) উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), সিডিএস অনিল চৌহান (Anil Chauhan, CDS)। সেখানে সেনাবাহিনীর সংস্কার ও ধারাবাহিকতার উপর আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রতিরক্ষার কৌশলগত দিক, আধুনিকীকরণ নিয়ে আলোচনা হয়। তিনদিনের এই আলোচনা সভা মূলত জল, স্থল ও আকাশ – তিন বাহিনীর রূপান্তর নিয়ে চিন্তাভাবনার উপর। তিন বাহিনীর সমন্বয় সাধন নিয়ে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনার কথা পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

আরও পড়ুন: নেপালে পোড়া রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরেই শপথ: প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি সুদানের!

প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের পরিকল্পনাকেই কটাক্ষ বাংলার শাসকদল তৃণমূলের। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, আমরা সবাই চাই আমাদের সেনাবাহিনী বিশ্বের এক নম্বর হোক। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা না বলে এখন, বর্তমানে যা করা দরকার সেগুলো কেন হচ্ছে না। সেনায় শূন্যপদে নিয়োগ, অগ্নিবীরের বদলে স্থায়ী নিয়োগ, পরিকাঠামোর উন্নতি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার যাতে পহেলগামের মতো জঙ্গিরা ভিতরে ঢুকে এসে মারতে না পারে। সেগুলো না করে ৪৭ সালের কথা শোনাচ্ছেন কেন।

–

–

–

–

–