বিমান বন্দরে দেহ আসার সঙ্গে সঙ্গেই যেন একরাশ চোখের জল বাঁধ ভেঙে উপচে পড়ল কর্মীদের। একই অবস্থা অসমের অগণিত মানুষের। গুয়াহাটির (Guwahati) রাস্তায় সারারাত জেগে যে ভক্তরা অপেক্ষা করেছিলেন তাঁদের বাধ ভাঙা চোখের জল উপচে পড়ল জুবিন গর্গের (Zubeen Garg) মরদেহ নিয়ে কফিন শহরে পৌঁছতেই। মরদেহে শ্রদ্ধা জানালেন স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া (Garima Saikia)।

রবিবার ভোর ৬টা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছয় জুবিন গর্গের মৃতদেহ। বিমান বন্দরের কর্মীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে মায়াবিনী গানটি গাওয়ার সময়ই কান্নায় ভেঙে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মরদেহ নিয়ে সকালে পৌঁছন গুয়াহাটি।

শনিবার প্রায় সারারাত গুয়াহাটির প্রতিটি মোড়ে জমায়েত শুরু করেন অগণিত ভক্ত। মরদেহ গুয়াহাটি (Guwahati) বিমান বন্দরে পৌঁছতেই সেই জনতা বাঁধ ভাঙা চোখের জল নিয়ে মরদেহবাহী গাড়ির সামনে জড়ো হয়। মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জুবিনের বাড়িতে। সেখানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানান স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া। দীর্ঘ সময় সেখানেই শিল্পীর দেহ শায়িত রাখা হয় অনুগামী, ভক্তদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

আরও পড়ুন: গরিবের মসিহা রোলেক্স কোম্পানির মালিক! মুনাফার প্রায় পুরোটাই চলে যায় দানে

কফিন ছুঁয়ে একবার শিল্পীকে শেষবার বিদায় জানানোর জন্য উপচে পড়ে ভিড়। সেই ভিড়ে যুবক-যুবতীদের চোখের জলের পাশাপাশি দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের চোখের জল ফেলতে। শারীরিকভাবে অক্ষম বহু মানুষও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে শ্রদ্ধা জানান সেখানে। রাজনীতিক নেতাদেরও চোখের জল ফেলতে দেখা যায় এদিন। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গুয়াহাটির সরুসজাই স্টেডিয়ামে। সন্ধ্যাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোথায় সম্পন্ন হবে শিল্পীর শেষকৃত্য। তবে সোমবার সকালেও স্টেডিয়ামে শায়িত থাকবে জুবিনের মরদেহ, জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অগণিত ভক্তের ভিড় সামলাতেই এই সিদ্ধান্ত, জানানো হয়।

–

–

–

–
–

