উৎসবের মরশুমে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ নিশ্চিত করতে টানা নজরদারির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। নবান্নে খোলা কন্ট্রোলরুমে প্রতিদিন পূর্ণ তৎপরতা বজায় থাকবে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের নির্দেশে সচিব পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে মনিটরিং টিম বিকেল তিনটে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দুই শিফটে কাজ করছে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ থেকে আইনশৃঙ্খলা—সব ক্ষেত্রেই ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে। মনিটরিং টিমের রিপোর্ট সরাসরি পৌঁছচ্ছে দফতরের প্রধান সচিব, মুখ্যসচিব এবং সংশ্লিষ্ট পুরসভা ও পুলিশের কাছে। সামগ্রিকভাবে পুরো ব্যবস্থার দায়িত্বে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব। দফতরের স্পষ্ট বার্তা—পুজোর সময়ে যাতে সাধারণ মানুষ কোনও অসুবিধায় না পড়েন, তার জন্য নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।

বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সংকট আপাতত কাটলেও কন্ট্রোলরুম সক্রিয় থাকবে ছট পুজো পর্যন্ত। অন্য দফতরে ছুটির আবহ থাকলেও এখানে পূর্ণ কর্মতৎপরতা বজায় রাখা হবে।

এদিকে মঙ্গলবারের দুর্যোগে রাজ্যে ১১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে কলকাতাতেই প্রাণ হারিয়েছেন আটজন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দু’জন এবং উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। কন্ট্রোলরুমে ইতিমধ্যেই তিনশোরও বেশি ফোন এসেছে। অভিযোগ ও অনুরোধের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে পুজোর সময়ে কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। প্রশাসনের দাবি, মঙ্গলবারের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার মতো প্রস্তুতি আগেই রাখা হয়েছে। কলকাতা পুরসভা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের যৌথ পদক্ষেপে অধিকাংশ জায়গায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখেই এবারের উৎসবে সক্রিয় থাকছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন – রক্তবীজ ২: নির্ভেজাল বাঙালিয়ানায় মোড়া নির্মেদ থ্রিলার

_

_

_

_
_