প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় (Primary Teachers Recruitment Case) অবশেষে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এই সংক্রান্ত অন্য মামলাগুলোতে আগেই জামিন হয়েছিল। এবার পুজোর আগে ৩৯ মাস পর সাময়িক স্বস্তিতে পার্থ। যদিও প্রাক্তন মন্ত্রীর জেলমুক্তি হবে কিনা তা নির্ভর করছে নিম্ন আদালতের উপর।

শুক্রবার সকাল থেকেই নিয়োগ মামলার শুনানিতে নজর ছিল। এদিন পার্থর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ (Shubhra Ghosh) জানিয়েছেন বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে-

- • পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে
- • তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে মাসে একবার দেখা করতে হবে
- • নিম্ন আদালতের এলাকা ছাড়তে পারবে না
- • ফোন নম্বর জমা রাখতে হবে
- • কোনও পাবলিক অফিসের দ্বায়িত্ব দেওয়া যাবে না
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ইডি-সিবিআইয়ের (ED and CBI) সব মামলা থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেয়ে গেলেন। কিন্তু পুজোর আগে জেলমুক্তির বিষয়টি এক্ষুনি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এজন্য বেশ কয়েকটি প্যারামিটারের উপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। কারণ এসএসসি নিয়োগ মামলায় আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণের কথা বলেছিল সিবিআই। যার মধ্যে তিনজনের হলেও বাকি পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। সুপ্রিম (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী সব সাক্ষীর বয়ান রেকর্ডের পরই প্রাক্তন মন্ত্রীর জেলমুক্তির রায় দিতে পারবে নিম্ন আদালত। গত ১৮ অগাস্টের নির্দেশে দেশের শীর্ষ আদালত জানায় যে একমাসের মধ্যে চার্জ গঠন এবং দুমাসের মধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করতে হবে। ফলে সেই প্রক্রিয়া শেষ হতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

পার্থর জামিন প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, এই ঘটনায় আবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে সিবিআই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। তাহলে কি এ প্রশ্ন উঠছে না, যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরোধীদের হেনস্থা করার জন্যই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগানো হচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেস বারবার বলেছে যদি কেউ দোষ করে থাকে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু ভোটে জিততে না পেরে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বাংলার শাসক দলকে হেনস্থা করার যে পন্থা অবলম্বন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি তার সঠিক জবাব আগামী নির্বাচনে বিজেপি পেয়ে যাবে বলেই মন্তব্য তাঁর।

–

–

–

–

–

–
–