দুর্গোৎসবকে ঘিরে কলকাতার রাস্তায় ভিড় সামলাতে ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে লালবাজার। ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রয়োজনে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হবে ড্রোনও। যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত পুলিশ।

পুজোর দিনগুলোতে শহরে মোতায়েন থাকবেন দশ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী। এই সংখ্যা শুধুমাত্র পুলিশ বাহিনীর—এর মধ্যে সিভিক ভলেন্টিয়াররা অন্তর্ভুক্ত নয়। প্রতিটি ডিভিশনে ডেপুটি কমিশনার থেকে যুগ্ম কমিশনার ও অতিরিক্ত কমিশনার স্তরের কর্তারা নজরদারির দায়িত্ব সামলাবেন।

লালবাজারের উদ্যোগে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। সেখানকার কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি শহরের বড় বড় প্যান্ডেলে নজরদারির জন্য স্থাপন করা হয়েছে ৬০টিরও বেশি ওয়াচ টাওয়ার।

মহিলা নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শহরের পথে থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক মহিলা পুলিশ। কেউ ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলে দ্রুত উদ্ধার করার জন্য আলাদা টিম প্রস্তুত। জরুরি পরিস্থিতিতে মোতায়েন থাকবে ‘কর্মা’ ও ‘ট্রমা কেয়ার’ অ্যাম্বুলেন্স।

নগরপাল মনোজ বর্মা থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, স্থানীয় দাগি দুষ্কৃতীদের ওপর বিশেষ নজর রাখতে। উদ্যোক্তাদেরও অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নিরাপত্তা আরও মজবুত করেন। সব মিলিয়ে এবারের দুর্গোৎসবে শহরবাসীর নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না লালবাজার।

আরও পড়ুন – পঞ্চমীতেই ভিড়ের ঢল, টক্কর উত্তরে–দক্ষিণে

_

_

_

_
_