দীপঙ্কর রপ্তান, অফিসার ইন চার্জ, এমটিও, স্পেশাল ব্রাঞ্চ
আমার জন্ম সন্দেশখালির এক প্রত্যন্ত গ্রাম ধুচনিখালিতে। মাধ্যমিক পাশ করে কলকাতায় (Kolkata) চলে আসি। ২০০০ সালে কলকাতা পুলিশে (Police) যোগ দেওয়ার পরে পুজোর দিনগুলো কাটে অন্যের আনন্দের খেয়াল রাখতে। আমার পরিবার এখন আর কষ্ট পায় না। পুজোর দিনগুলো আমাকে ছাড়াই তারা নিজেদের মতোই আনন্দ করে।

তবে, ছোটবেলার পুজোর দিনগুলো খুব আনন্দে কাটাতাম। ছোট থেকেই গানের প্রতি একটা অদ্ভূত টান। গানটাই আমর জীবনে ভালোবাসা, প্যাশন। কিন্তু গান সেভাবে শিখতে পারিনি। কোনও প্রথাগত শিক্ষাও নেই। শুধু ভালবাসা থেকেই গান গেয়ে যাই। সারাদিন পুলিশের (Police) ডিউটির পরে একটু সুযোগ পেলেই গান নিয়ে চর্চা করি।

হঠাৎ এবছর আমার ভাইয়ের মতো পার্থ এসে একদিন বলল, তাদের ক্লাব ভবানীপুর স্বাধীন সংঘের থিম সং করতে হবে, যে পুজো মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনও করবেন। আমি তো শুনেই ভয়ে আড়ষ্ঠ হয়ে গেলাম। পার্থ সাহস দিল। একদিন রাতে ডিউটি থেকে ফিরে লিখে ফেললাম এবং সুরও দিলাম সাহস করে। এদিকে পুজো আসছে সাংঘাতিক চাপ সে কারণে সারাদিন ডিউটির পরে রেকর্ডিং-এর সময় নিলাম রাত নটা থেকে বারোটা। সুব্রত বোসদার music arrangement- গান রেকর্ড হল। আমার সাথে তুলিকা সোম গাইলেন। গানটা এবার আমাদের বাংলার গর্বের দুর্গাপুজোর কার্নিভালেও বাজবে। সত্যি ভাবলেই শিহরিত হয়ে উঠছি- মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সামনে আমার গান বাজবে। এই আনন্দটাই পুজোর সময় পরিবারের থেকে দূরে থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডিউটি করার চাপটা ভুলিয়ে দেয়।

–

–

–

–

–

–

