শ্রেয়া বসু

আজ ‘ভবানী পাঠক’ থুড়ি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। বাংলা জুড়ে প্রেক্ষাগৃহে এখন টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ ‘ভবানী পাঠক নামেই পরিচিত। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বাংলা তথা দেশের প্রথম সন্ন্যাসী বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন ভবানী পাঠকের মন্ত্রে দীক্ষিত দেবী চৌধুরাণী।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই ঐতিহাসিক সাহিত্যকে সাহসিকতার সঙ্গে পর্দায় তুলে আনলেন পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। ভবানী পাঠক চরিত্রটি প্রসেনজিতের অভিজ্ঞতা ও শিল্পী সত্ত্বায় এক কথায় অসাধারণ। ছবি শেষে মনে হতে বাধ্য ভবানী পাঠককে আরও কিছুটা বেশি সময় দিলে বোধহয় ভালো হত।

একান্ত সাক্ষাৎকারে বিশ্ব বাংলা সংবাদের সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন শুভ্রজিৎ। তিনি জানান, ”বুম্বাদা প্রতিদিন সকালে আসত শুটে, আমার সারাদিনের প্ল্যান, চিন্তাভাবনা ডিটেইলে বুঝে নিত। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল কি হবে সেটাও বুঝে নিয়ে একেবারে ধ্যানস্থ অবস্থায় চলে যেত। নিজের মধ্যে ঢুকে যেত। মেকআপ ভ্যানের ভেতর কেউ ঢুকবেনা এরকম সিকিউরিটি থাকত। ঠিক শটের আগে ডাকা হত, আবার ভেতরে ঢুকে যেত। ইন্টার্নালাইজেশন ব্যাপারটা খুব করত বুম্বাদা আমি দেখেছি। আর যখন অ্যাকশন সিকুয়েন্স হত তখন সামনে বসে দেখত, অন্য কারোর শট হলেও ভেতরে যেত না। ওখানে বসে বসে দেখত।”

ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় একেবারেই সহজ নয়। তবে বাণিজ্যিক ঘরানার রোমান্টিক ইমেজ থেকে বেরিয়ে প্রসেনজিৎ একাধিকবার ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘জাতিস্মর’-এর অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি, ‘গুমনামী’ ছবিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আজও আলোচনার শীর্ষে।

আরও পড়ুন: উৎসব মুখর বাংলা, মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

বুম্বাদা নিজে যদিও মনে করছেন তিনি এই চিত্রনাট্য পড়তে পড়তে তিনি বুঝেছেন সাধনা এবং বিপ্লব মিলে এই ব্যক্তিত্ব আর সেটাই অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তি। যদিও পরিচালকও মনে করছেন, “আমার এই প্রজেক্টে বুম্বাদাকে পাওয়াটাই আমার কাছে আশীর্বাদ।”

–

–

–
–
–