বাংলায় দলের আদি-নব্যের দ্বন্দ্বই এখন মাথা ব্যাথার কারণ পদ্ম শিবিরের। নিজেদের অন্দরের কোন্দলই থামাতে পারছে না যারা, তারা বিরোধীদের সঙ্গে কী লড়াই করবে! এই নিয়ে চিন্তায় বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেইসব দুর্বলতা কাটিয়ে দলকে একজোট করার টনিক দিতে শুক্রবার দলীয় রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব (Bhupendra Yadav)। সেখানেই ২৬-এর নির্বাচনের আগে নিচুতলার দুর্বলতা ও আদি-নব্যের কোন্দল মেটানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি। অক্টোবরের শেষ থেকেই বাংলায় লাগাতার কর্মসূচি করবে গেরুয়া শিবির। জেলায় জেলায় কর্মসূচির ঘোষণা হবে শীঘ্রই।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে যেমন বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক করা হয়েছে তেমন সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক করা হয়েছে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে। ২৫ সেপ্টেম্বর নাম ঘোষণার পরে এদিন প্রথম কলকাতায় এসে বৈঠক করেন তাঁরা। কলকাতা (Kolkata) বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত, রাজ্য নেতা উমাশঙ্কর ঘোষদস্তিদার। এদিন বৈঠকে ছিলেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য এবং সতীশ ধন্দ-সহ চারজন সাধারণ সম্পাদক।

দুর্গাপুজো মিটতেই ছাব্বিশের ভোটের ঘুঁটি সাজাতে বসে পড়েছে গেরুয়া শিবির। আর সেখানে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরের কোন্দল। অভিযোগ, তৎকাল বিজেপিদের চাপে কোণঠাসা আদি বিজেপি (BJP) নেতারা। ফলে তাঁরা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে পড়েছেন। এখন তাঁদের চাগিয়ে তুলে কাজে ফেরানোই বড় চ্যালেঞ্জ ভূপেন্দ্র-বিপ্লবদের।

এদিনের বৈঠকে আগামীতে কোন কোন ইস্যুতে কী কর্মসূচি নেওয়া হবে- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসআইআর নিয়ে বিজেপি কী পথ নেবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট গাইড লাইন বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আলাদা করে কথা বলেছেন ভূপেন্দ্র যাদব। নবীন প্রবীণ লড়াই বন্ধ করে বলেছেন যাঁরা বসেন আছে , তাঁদের সক্রিয় করতে বলেছেন তিনি। বুথ কমিটির কাজ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বিজেপি সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর আবহ শেষ হলেই লাগাতার ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিহারে ভোট শেষে বাংলায় আসা-যাওয়া করবেন অমিত শাহ। অক্টোবরের শেষ থেকেই বাংলায় লাগাতার কর্মসূচি করবে গেরুয়া শিবির। জেলায় জেলায় কর্মসূচির ঘোষণা হবে শীঘ্রই।

–

–

–

–

–