হাওয়া অফিসের (Weather Department) পূর্বাভাস সত্যি করে উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের ঘনঘটা। একটা নাম মুষলধারে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ (Heavy Rain and Landslide in North Bengal)। ধস নেমেছে সিকিমে। মিরিক এবং সুখিয়ায় ধসে চাপা পড়ে প্রাথমিকভাবে এক শিশু সহ মোট পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। পরে সেই সংখ্যাটা বেড়েছে। জোরকদমে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। জলমগ্ন ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। শিলিগুড়ি – মিরিক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী দুর্যোগে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই শনিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয় উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায়।তিস্তার জল বেড়ে উঠে এসেছে জাতীয় সড়কে। তিস্তাবাজারের কাছে ২৯ মাইল ভালুখোলায় তিস্তার জল উঠে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, দিলারামের কাছে রাস্তায় ধস নেমেছে। দার্জিলিঙে যাতায়াতের প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ।কালিম্পং এবং সিকিমের দিকে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এক রাতের বৃষ্টিতে দার্জিলিঙের পরিস্থিতি ভয়াবহ। মিরিকে লোহার সেতু ভেঙে পড়ে অন্তত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। সুখিয়ায় মৃতের সংখ্যা চার। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বানারহাট ব্লকের তোতাপাড়া এলাকায় ডায়না নদীর জল ঢুকে পড়ায় বিপর্যস্তের জনজীবন।মিরিকের জসবির বস্তিতে ধসে চাপা পড়ে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জোরকদমে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ, মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শিলিগুড়ি ও সিকিমের বিকল্প রাস্তা হিসাবে পরিচিত ৭১৭ জাতীয় সড়কেও ধস নেমেছে। টানা বৃষ্টিতে শিলিগুড়ি-দার্জিলিংয়ের সংযোগকারী রোহিনী রোডে ধস নামার খবর মিলেছে। ব্যাহত যোগাযোগ ব্যবস্থা।প্রবল বর্ষণে ভেঙেছে মহানন্দা নদীর বাঁধ। ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ফুলবাড়ির পোড়াঝার গ্রাম।নাগরাকাটা ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় জলবন্দি ২০০টি পরিবার।

রবিবারও উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে।অতি ভারী বৃষ্টি চলবে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সব জেলাতেই।

অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে আজ দুর্যোগের ভ্রুকুটি অনেকটাই কম। কলকাতায় দিনভর মেঘলা আকাশে বৃষ্টির কাঁটা নেই পুজো কার্নিভালের শোভাযাত্রায় (Durga Puja Carnival in Kolkata)। যদিও দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলায় আজ দিনভর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আজ দক্ষিণবঙ্গে ঝড় বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা দিয়েছে হাওয়া অফিস।

–

–

–

–

–

–
–
–