Monday, December 8, 2025

দুর্যোগে নিখোঁজ মা, অসহায় মেয়ের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী

Date:

Share post:

আমার মাকে খুঁজে পাচ্ছি না, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই এ-কথা জানিয়ে হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করে মেয়েটি। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেন দ্রুত খোঁজ নেওয়ার।

সোমবার নাগরাকাটায় ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া সকলের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিপর্যয় এখনও কাটেনি, নদীর জল আবারও বাড়তে পারে। তাই নিচু এলাকায় থাকা মানুষদের তিনি সতর্ক করে বলেন, অবিলম্বে যেন তাঁরা সরকারের তৈরি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেন। তখনই ত্রাণশিবিরে মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে ভেঙে পড়লেন অসহায় মেয়েটি। মুখ্যমন্ত্রীকে জানান বিধ্বংসী বন্যায় তার মা নিখোঁজ হয়েছে। একদিন পেরিয়ে গেলেও তার মাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই কথা শোনামাত্রই মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক অধিকর্তাদের নির্দেশ দেন নিখোঁজ মহিলাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুঁজে বার করতে হবে। এছাড়াও বন্যায় বাড়িঘর ভেসে যাওয়ার চা-বাগানবাসীদের আর্তনাদ শুনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করেন শীঘ্রই তাঁদের বাড়ি-ঘর তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যা-কবলিত মানুষদের খাদ্যসামগ্রী থেকে শুরু করে পোশাক ও রান্না করার সামগ্রী দিয়েছে সরকার।

জেলা জুড়ে ত্রাণশিবির চালু করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য প্রশাসন। উত্তরবঙ্গের এই বিপর্যয়ে আবারও প্রকাশ পেল কেন্দ্রের উদাসীনতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সামান্য সহানুভূতি ছাড়া কেন্দ্রের তরফে কোনও কার্যকরী সাহায্য মেলেনি। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে দুর্গত অঞ্চলে উপস্থিত হয়ে যেমন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন, তেমনি তাঁদের পাশে থেকে ভবিষ্যতের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিলেন। ষাটোর্ধ্ব স্থানীয় বাসিন্দা মিগমা ওরাও বলেন, এই বিপদের দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের আপনজনের মতো পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই মানবিকতা ও দায়িত্ববোধই তাঁকে আলাদা করে তোলে। মৃত পরিবারের সদস্য নবীন ওঁরাও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়ে কথা রাখেন। ঘোষণার করার সাথে সাথেই আমাদের হাতে টাকা তুলে দেবেন সেটা আমরা ভাবতে পারিনি। মুখ্যমন্ত্রী মানবদরদি ওঁর উপর আমাদের আস্থা আছে। উনি আমাদের ভগবান। এছাড়াও পাহাড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটকদের জন্য অতিরিক্ত ৪৫টি ভলভো বাস দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের সুরক্ষার সাথে উদ্ধার করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে।

উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত মানুষের কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভ বাড়লেও, মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক উদ্যোগে খানিকটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে জলপাইগুড়িবাসীর মুখে।

আরও পড়ুন – রোহিত-বিরাটের শেষ সফর! ডনের দেশে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

জৌলুসহীন সুপার কাপের ফাইনাল, ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়েও দিশাহীন কল্যাণ

রবিবার গোয়াতে সুপার কাপের (Super Cup) ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও এফসি গোয়া।  সুপার কাপ (Super Cup)...

ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ ইস্টবেঙ্গলের, সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন এফসি গোয়া

সুপার কাপে(Super Cup) চ্যাম্পিয়ন এফসি গোয়া(FC Goa)। ফাইনালে ইস্টবেঙ্গেলর (East bengal)  বিরুদ্ধে নাটকীয়ভাবে টাইব্রেকারে ৬-৫ ফলে জয়ী গোয়া।...

মানবিকতা উঠে গেছে বলেই বামেরাও উঠে গেছে! তোপ কল্যাণের

ফের একবার বামেদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩২ হাজারের শিক্ষক নিয়োগের রায় বহাল থাকা...

ঘুম হচ্ছে না সোনালির, পাশে দাঁড়াতে হাসপাতালে তৃণমূল নেতৃত্ব

সুস্থভাবে ফিরে এসেছেন দেশে। প্রশাসনিক তৎপরতায় ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। কিন্তু নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় নেই সোনালি খাতুনের (Sunali Khatun)।...