কথা ছিল সিসিটিভি ক্যামেরার (CCTV Camera) ডিভিআর নিয়ে পালাবেন কিন্তু ভুল করে ওয়াইফাই- মোডেম নিয়ে পালিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। ফল যা হওয়ার তাই হল। বরাহনগরে (Barahnagar) সোনার দোকানে (Gold Shop) ডাকাতি ও দোকান মালিক খুনে পুলিশ পাঁচ অভিযুক্তকে সহজেই গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে দুই অভিযুক্ত এখনও অধরা। মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার হওয়া চন্দন মণ্ডল ও প্রিন্স কুমারকে বুধবার ব্যারাকপুরে নিয়ে এসেছে পুলিশ। এদিন দু’জনকে ব্যারাকপুর (Barrackpur) মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও জানা গিয়েছে, চন্দন ও প্রিন্স এবং বিহারের এক দুষ্কৃতীকে ডাকাতির জন্য ভাড়া করা হয়। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি বিহারের কুখ্যাত দুষ্কৃতী রাকেশ দাস তাদের এক মিডলম্যান মারফত ঘটনার মূল চক্রী সঞ্জয় মাইতির কাছে পাঠিয়েছিল। বিহার থেকে যে এসেছিল এবং ওই মিডলম্যানের হদিস পাওয়া যায় নি। কয়েক মাস আগে সঞ্জয় একজনকে ওই দোকানে সোনা কিনতে পাঠিয়েছিল এবং কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা আছে সেটা জেনেই পুরো প্ল্যান সাজিয়েছিল। আরও পড়ুন: পুজোর পরেই কড়া নজর, দ্রুত প্যান্ডেল-হোর্ডিং সরানোর নির্দেশ ফিরহাদের

প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেলে বরাহনগর শম্ভুনাথ দাস লেনে শঙ্কর জানার (৬৩) দোকানে ঢুকে ডাকাতি করে একদল দুষ্কৃতী। বাধা দিলে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুন হন। প্রায় ১৫ কেজি সোনার গয়না লুট করে পালায় সেই ডাকাত দল। খুব নিখুঁত কাজ যে নয় সেটা পুলিশ প্রথম থেকেই আন্দাজ করেছিল এবং কর্মকাণ্ডের পদ্ধতি এতটাই দুর্বল ছিল যে কোনটা সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর আর কোনটা ওয়াইফাই মোডেম সেই ধারণাও তাঁদের ছিল না। তাই ডিভিআরের বদলে মোডেম নিয়ে গিয়েছিল তারা। অতএব ডিভিআর ছিল জায়গাতেই। তাই সোনার গয়না লুট এবং দোকান মালিক খুনের ঘটনার সমস্ত ফুটেজ সেখানে ছিল। সেটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে এবং সেই সূত্র ধরেই দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা সহজ হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ডাকাতির জন্য চন্দন ও প্রিন্স দু’জনে ৫০ হাজার টাকা করে পেয়েছিল। ঝাড়খণ্ড ফিরে গিয়ে চন্দন মোবাইল কেনে। সেটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রিন্স ২৫ হাজার টাকা খরচ করে ফেললেও বাকি টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ”সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর তদন্তে অনেকটাই সাহায্য করেছে। ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।”

–

–

–

–

–

–
