উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ধূপগুড়ি মহকুমার গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুল্লাপাড়া ও কুর্শামারি এলাকা। প্রবল জলের তোড়ে রেললাইন সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙে পড়ায় দুটি গ্রাম কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে দেখা দেয় বড় ধরনের সমস্যা। দুর্গত এলাকাগুলিতে পৌঁছতে প্রশাসনের কর্মীদের ঘুরপথে কয়েক কিলোমিটার পেরোতে হচ্ছে।

তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় স্থানীয় প্রশাসন। ভাঙা সেতুর পাশে অস্থায়ীভাবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে, যাতে অন্তত প্রয়োজনীয় যাতায়াত ও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রাখা যায়।

ধূপগুড়ির বিধায়ক অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায় জানান, “এই দুর্যোগেও প্রশাসন এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে কাজ শুরু করেছে। ভাঙা সেতুর জায়গায় বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে, যাতে কেউ বিচ্ছিন্ন না থাকে। খুব শীঘ্রই স্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজও শুরু হবে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিও দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। ধূপগুড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এমন দুর্যোগেও প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ তাঁদের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারকে পাঠানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ও রাস্তাগুলির মেরামতির কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন – বিয়েবাড়ি যাওয়ার পথে উল্টে গেল বাস, দুর্ঘটনায় ১০ জন আহত

_

_

_

_

_
_