পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি ছিলই। এরপর ঘটনার পুণর্নির্মাণে যে তথ্য পুলিশের হাতে আসে তার জেরেই দুর্গাপুরের নির্যাতিতা ছাত্রীর সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার তার সাত দিনের পুলিশ হেফাজত (police custody) হয়। তবে সঙ্গীর গ্রেফতারির পরে তদন্ত নিয়ে উল্টো সুর নির্যাতিতার (rape victim) বাবার। বাংলার পুলিশের তদন্তে আস্থা রয়েছে এমনটা বলছেন তিনি। আবার বিনা কারণেই সিবিআই (CBI) তদন্তও দাবি করছেন। তবে এবার তিনি এটাও জানান, বাংলার প্রশাসন যে বিচার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে তাতে তাঁর মেয়ে ন্যায় পাবে।

দুর্গাপুরের মেডিক্যাল পড়ুয়ার সঙ্গী, যে ওই রাতে তার সঙ্গে ছিল, সেই দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া সঙ্গী ওয়াসেফ আলিকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের (ADPC) তরফে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ, নির্যাতিতার বয়ান ও প্রযুক্তিগত প্রমাণের ভিত্তিতে তাকেও অপরাধী বলে চিহ্নিত করে পুলিশ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানানোর পরেই গ্রেফতার হয় ওয়াসেফ। বুধবার তাকে আদালতে পেশ করা হলে সাতদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে আদালত।

মালদহের বাসিন্দা ওয়াসেফের সেই রাতের গতিবিধি নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল পুলিশ। সেই কারণেই শনিবার অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই আটক করা হয় তাকে। যে দীর্ঘ সময় নির্যাতিতা সঙ্গীর সঙ্গে বেরিয়ে আবার ফিরে আসার মধ্যে কাটিয়েছিল, সেই সময়ে ফোন থাকা সত্ত্বেও পুলিশে জানায়নি ওয়াসেফ। এমনকি কলেজে ফিরে এলেও কলেজের নিরাপত্তা কর্মী বা কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। বুধবার ওয়াসেফকে আদালতে পেশ করা হলে তার জন্য যে সব ধারা যোগ করা হয় সেগুলি – সংঘটিতভাবে অপরাধে যুক্ত থাকা, ছিনতাই, বলপ্রয়োগ ইত্যাদি। এই ধারা যোগ করা থেকে গণধর্ষণে (gang rape) সঙ্গীর যুক্ত থাকার অনুমান পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার ওয়াসেফের গ্রেফতারির পর থেকে নির্যাতিতাকে ওড়িশা নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ বাড়াতে থাকেন নির্যাতিতার বাবা। বুধবার তিনি দাবি করেন, মমতা দিদির তদন্ত যেমন চলছে চলুক। মমতা দিদিকে মেনে নিয়েছি। আমার মেয়েকে যা ন্যায় দেবে তাতেই খুশি।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে যৌন নিগ্রহকারী একজন! সঙ্গীর ভূমিকায় সন্দেহে সংগ্রহ হল পোশাক

আবার একই ব্যক্তির মুখে উল্টো সুরও শোনা যায় বুধবার। সেখানে আবার তিনি জানান, বাংলার পুলিশ যে তদন্ত করছে তাতে কোনও সমস্যা নেই। তবে সিবিআই তদন্ত চাই। সিবিআই যদি তদন্ত করে তবে তদন্ত আরও ভালো হবে। তদন্ত আরও দ্রুত করার জন্য সিবিআই চাই। এই রাজ্যের প্রশাসনের উপর ভরসা নেই। তাই মেয়েকে দ্রুত ওড়িশা নিয়ে যেতে চাই।

–

–

–

–