দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিলির নামে রাজনৈতিক প্রচার চালানোর অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari) ‘ঔদ্ধত্যে’ ত্রাণ ফেরালেন ক্ষুব্ধ বানভাসীরা। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি ব্লকের গাধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুরসামারি ও বগুড়িবাড়ি গ্রামের হোগলাপাতা এলাকায় পৌঁছে ত্রাণ বিতরণ করতে যান দলবদলু বিজেপি (BJP) নেতা। কিন্তু সেখানে দিয়ে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের দুঃখের কথা শোনা দূর, মানুষের দুর্দশাকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক প্রচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। আর এতেই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari) হাতে ত্রাণ (Relief) গ্রহণ করতে গিয়েছিলেন বানভাসী মানুষ। কিন্তু তাঁদের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করেন, “আমরা কষ্টে আছি, সব হারিয়েছি। চেয়েছিলাম উনি আমাদের মুখে শুনুন আমাদের দুঃখের কথা। কিন্তু কেউ কথা বলার সুযোগই দিল না।” এই ক্ষোভ থেকেই কয়েকজন বানভাসী ত্রাণসামগ্রী ফিরিয়ে দেন। কেউ কেউ সেই জায়গায় কেঁদে ফেলেন।

তৃণমূলের (TMC) জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, “মানুষের বিপদের সময়ে পাশে থাকার ভান করছে বিজেপি। প্রশাসন ও রাজ্য সরকার দিনরাত কাজ করছে দুর্গত মানুষদের সাহায্য করতে। শুভেন্দু আসলে বন্যার দুর্ভোগকে ব্যবহার করছেন রাজনৈতিক প্রচারের জন্য। মানুষ সেটাই বুঝে গিয়েছে, তাই এই প্রতিক্রিয়া।” তাঁর কথায়, “বিজেপির নেতারা শুধু ক্যামেরার সামনে দেখানো কাজ করেন। কিন্তু তৃণমূলের কর্মীরা দিনরাত মাটিতে নেমে ঘরবাড়ি মেরামত, খাদ্য, ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই রাজ্য সরকার (State Government) এই কঠিন সময়ে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছে।” শাসকদলের কথায়, “মানুষের ক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্ত, কারণ তারা বুঝে গিয়েছে শুভেন্দুর উদ্দেশ্য রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।”

প্লাবনের জেরে ধূপগুড়ি মহকুমার গাধেয়ারকুঠি, বগুড়িবাড়ি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় এখনও অনেক পরিবার জলবন্দি। রাজ্য প্রশাসন ও তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব মিলে ইতিমধ্যেই পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেছেন।

–

–

–

–

–

–