একেই বলে স্বৈরাচারের চূড়ান্ত। দিল্লির ক্ষমতা দখল। কেন্দ্রের মসনদে মৌরুসি পাট্টা। এরপরেও রাজধানীর খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলিতে যে বিজেপির ‘শাসন’ কায়েম হবে তা বলাই বাহুল্য। আর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Delhi University) দুটি শীর্ষ পদে বিজেপির ছাত্র সংগঠনের দুই পদাধিকারী ক্ষমতায় আসতেই শুরু বিজেপির অরাজকতা। অন্য ছাত্র সংগঠনের নেতা পদাধিকারীদের মারধর তো বটেই, অধ্যাপকের গায়ে হাত তুলতেও পিছপা হয়নি এবিভিপি (ABVP) নেত্রী। এবার এআইএসএ কর্মী ও পদাধিকারীদের এবিভিপি কর্মীদের মারের প্রতিবাদ করে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) জেলে ঠাঁই হল বিরোধী শিবিরের ছাত্রনেতাদের। যে দিল্লি পুলিশ অধ্যাপক পেটানো বিজেপি নেত্রীকে গ্রেফতার করতে পারে না, তারাই বিরোধী শিবিরের ২৮ ছাত্রনেতাকে জেলে পাঠালো।

সম্প্রতি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সভাপতির পদ জেতে এআইএসএ (AISA)। সম্পাদকের দুটি পদে জেতে এবিভিপি। এরপরই ছাত্র সংসদ সভাপতিকে মারধর করে এবিভিপি ছাত্ররা, এমনটাই অভিযোগ। এবার মারধরের ঘটনা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU)। ছাত্র সংসদের জিবি বৈঠক চলাকালীন সংগঠনের এআইএসএ ছাত্র সংসদ সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ এবিভিপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে থানায় অভিযোগ জানানো হয় ছাত্র সংসদের তরফ থেকে। এআইএসএ কর্মীদের দাবি, পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করলেও তা এফআইআর (FIR) হিসাবে গ্রহণ করা হয়নি।

থানায় অভিযোগ জানাতেই এআইএসএ ছাত্রদের প্রায় দুঘণ্টা ছাত্র সংসদের ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে এবিভিপি কর্মীরা। সেখানে পুলিশ ডাকা হলে পুলিশ আসে। কিন্তু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এরপর থানা ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করে বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। বসন্ত কুঞ্জ থানা ঘেরাও করতে গেলে ছাত্রদের পুলিশ মারধর করে প্রিজন ভ্যানে তুলে থানায় ভরে দেয়, এমনটাই অভিযোগ। জেএনইউ (JNUSU) ছাত্র সংসদ সভাপতি এআইএসএ (AISA) সদস্য নীতীশ কুমার দাবি করেন, পুলিশ ছাত্রদের মারধর করে। তার পোশাক ছিঁড়ে, মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। গ্রেফতার করা প্রাথমিকভাবে ৬০ জনকে। পরে বাকিদের ছেড়ে দিয়ে ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: ভিন-ধর্মের যুগলকে গ্রেফতার মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ: ঐতিহাসিক রায় যোগীরাজ্যের আদালতের

যে দিল্লি পুলিশ অধ্যাপকের গায়ে হাত তোলা নেত্রীকে গ্রেফতার করতে পারে না, বিরোধীদের গ্রেফতারিতে তাদের যে দেরি হয় না, প্রমাণিত হল জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) মারধরের ঘটনায়। শুধুমাত্র এবিভিপি (ABVP) নেত্রী হওয়ায় গ্রেফতারি এড়াতে পারে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধী।

–

–

–

–

–