ফের মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশে আটক পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ১৪ জন মৎস্যজীবী। মৎস্যজীবীরা কুলতলির শানকিজাহান গ্রামের বাসিন্দা। গত ১৩ অক্টোবর তাঁরা ‘FB শুভযাত্রা’ নামের একটি ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। কিন্তু গত শনিবার গভীর সমুদ্রেই ট্রলারের ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায়। অন্যদিকে সমুদ্র উত্তাল থাকায় ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের জলসীমায়। সীমান্ত অতিক্রম করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রলারটিকে আটক করে প্রতিবেশী বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী এবং সেনা। তবে বাংলার মানুষ যেখানেই বিপদে পড়েন, সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আটক হওয়া মৎস্যজীবীদের ক্ষেত্রেও যে তা হবে, বলাই বাহুল্য।

আটক হওয়ার পর কোন মৎস্যজীবী আর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে করতে পারেননি। তাঁদের বাংলাদেশে আটক হওয়ার খবর সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় প্রত্যেক পরিবারের একমাত্র রোজগারি সদস্যরাই বাংলাদেশে আটক হওয়ায় দুশ্চিন্তায় কুলতলির শানকিজাহান গ্রামের বাসিন্দারা। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, মৎস্যজীবীদের সংগঠন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দ্রুত ফিরতে পারবেন বলে তাঁরা আশাবাদী। আরও পড়ুন: খাঁচাবন্দি চা-বাগানোর ত্রাস! জলপাইগুড়িতে চিতাবাঘকে জঙ্গলে ফেরানোর প্রস্তুতি

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতায় ঘরে ফিরেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৯৫ জন মৎস্যজীবী। দুদেশের জলসীমায় আটক মৎস্যজীবীদের গঙ্গাসাগরে হস্তান্তর করা হয়। মৎস্যজীবীদের হাতে তুলে দিলেন আর্থিক সাহায্য এবং কিছু উপহার। তাই এবারেও আশা করা হচ্ছে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করলে ঘরে ফিরতে পারবেন কুলতলির মৎস্যজীবীরা।

–

–

–

–

–

–

–