দিওয়ালীর রাতে আলোয় ভরা পুরনো দিল্লির এক ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানে হঠাৎ করেই দেখা গেল বিরোধী দলনেতার (Rahul Gandhi) ভিন্ন এক রূপ। প্রায় ২৩৫ বছর পুরনো ঐতিহ্যবাহী ‘ঘণ্টেওয়ালা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’। দিল্লির চাঁদনি চক এলাকার এই দোকানে এদিন হাজির হন রাহুল গান্ধী। দীপাবলিকে সামনে রেখে দোকান ঘুরে দেখেন, হাত লাগান লাড্ডু আর অমৃতি বানানোর কাজে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতা, কর্মীদের সঙ্গে হেসে-খেলে গল্প—সব মিলিয়ে একেবারে ‘নেতা নন, পাড়ার চেনা ছেলে’-র মতোই তাঁর ব্যবহার। সেখানেই দোকানদার আবদার করে বসেন বিয়ে করার— “আপনি বিয়ে করুন, মিষ্টির অর্ডার তো আমরাই নেব!”

বয়স ৫৫ হলেও এখনও তিনি মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর। ঘরে বাইরে সবাই চান বিয়ে করে সংসারী হন রাহুল। বেশ কয়েকদিন আগে দিদি প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও প্রকাশ্যে রাহুলের বিয়ে নিয়ে বলেছেন। আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবও রাহুলের গাল টিপে মজার ছলে বিয়ের কথা বলেন। আরও পড়ুনঃ ‘বাবার সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক’! পঞ্জাবের প্রাক্তন ডিজি-প্রাক্তন মন্ত্রীর পুত্রের রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়

ঘণ্টেওয়ালার মালিক সুশান্ত জৈন বলেন, “সারা দেশ বলছে উনি দেশের সবচেয়ে যোগ্য ব্যাচেলর। আমরা অপেক্ষা করছি উনি বিয়ে করুন, যাতে তাঁর বিয়ের মিষ্টির অর্ডারটাও আমরা পাই।” তিনি আরও বলেন, “রাহুল তাঁর বন্ধু ও আত্মীয়দের জন্য মিষ্টি কিনতে এসেছিলেন। ওঁর বাবা অমৃতির খুব ভক্ত ছিলেন। তাই আমি বলেছিলাম, ‘স্যার, একটু বানিয়ে দেখুন।’ উনি ইমারতি আর বেসনের লাড্ডু দুটোই নিজে বানালেন। দুটোই ওনার খুব পছন্দ।” প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও ঘন্টেওয়ালার মিষ্টি পছন্দ করতেন। কথিত আছে যে সুখলাল জৈন প্রথম জীবনে ঘণ্টা বাজিয়ে মিষ্টি বিক্রি করতেন, সেখান থেকেই দোকানটির নামকরণ হয় ঘন্টেওয়ালা।

–

–

–

–

–

–

–