দুর্গাপুরে আইকিউসিটির চিকিৎসক ছাত্রীর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রথমে যে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, তা কার্যত খারিজ হয়ে গিয়েছে পুলিশের তদন্তে। ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বীর্য একজন ব্যক্তিরই। ফলে একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ আর টিকছে না বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

তদন্তকারীরা জানান, ছাত্রীর শরীর থেকে পাওয়া বীর্য নমুনা ও অভিযুক্তদের পোশাক ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্টে নিশ্চিত হয়েছে, ওই বীর্য একজনের — সম্ভবত ছাত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরই। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর মামলার দিক পাল্টে গিয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।

এদিকে, মঙ্গলবার দুই অভিযুক্ত শেখ রিয়াজউদ্দিন ও সফিক শেখকে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আনা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। রবিবার তাঁদের পুলিশ হেফাজত থেকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। এরপর আদালতের নির্দেশে তাঁদের বিচারকের সামনে আনা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই অভিযুক্ত বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় (নতুন অপরাধবিধি অনুযায়ী বিএনএসএস-এর ১৮৩ ধারা) গোপন জবানবন্দি দেবে। সেই জবানবন্দি থেকেই মামলার পরবর্তী দিক নির্ধারিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ চলছে। ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে আসার পরই ঘটনায় নতুন মোড় — যা মামলার রূপরেখা অনেকটাই বদলে দিয়েছে।

আরও পড়ুন – অম্রুত প্রকল্পে রাজ্যজুড়ে নগরোন্নয়নের জোয়ার, নামমাত্র বরাদ্দ কেন্দ্রের

_

_

_

_

_
_