উত্তরবঙ্গের বন্যা ও ধসের দুর্যোগের মধ্যেও জ্বলে উঠল সম্প্রীতির দীপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার যে “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” বার্তা দিয়েছেন, সেই কথার বাস্তব উদাহরণ দেখা গেল উত্তরের ত্রাণ শিবিরে। দীপাবলির রাতে ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে এক সঙ্গে দীপ জ্বেলে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান।

দীর্ঘ বৃষ্টিপাত ও ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে প্লাবিত হয়েছে ডুয়ার্স ও পাহাড়ের বহু এলাকা। বহু মানুষ এখনও আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি ত্রাণ শিবিরে। এই পরিস্থিতিতেই দীপাবলির রাতে মিজানুর রহমান পৌঁছন দুর্গতদের মধ্যে। হাতে নিয়ে যান মাটির প্রদীপ, মিষ্টি ও প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী। উৎসবের আলোয় যাদের ঘর অন্ধকার, তাদের হাতে তিনি তুলে দেন আশার আলো। হিন্দু পরিবারের হাতে মাটির প্রদীপ তুলে দিয়ে মিজানুর বলেন, “আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিখিয়েছেন, মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত ধর্ম। ধর্ম আলাদা হতে পারে, কিন্তু উৎসব সবার।”

ত্রাণ শিবিরে এক বৃদ্ধা প্রদীপ হাতে নিয়ে কাঁপা গলায় বলেন, “মা কালী তোমার মঙ্গল করুন বাবা।” সেই মুহূর্তে উপস্থিত সকলের চোখে জল। মিজানুরের এই উদ্যোগে দীপাবলির আলো যেন ছুঁয়ে গেল মানবতার অন্তর।

রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতায় উত্তরবঙ্গে পুনর্গঠনের কাজ চলছে দ্রুত। ত্রাণ ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি এই মানবিক উদ্যোগ যেন মনে করিয়ে দিল — বিপদের সময় রাজনীতি নয়, সম্প্রীতির হাতই একমাত্র ভরসা। দীপাবলির রাতে দুর্যোগের আঁধারে যে প্রদীপ জ্বাললেন মিজানুর রহমান, তা কেবল আলো নয় — তা বাংলার সম্প্রীতির প্রতীক, মুখ্যমন্ত্রীর শেখানো মানবিক রাজনীতির প্রতিধ্বনি।

আরও পড়ুন – দুর্গাপুরে আইকিউসিটি কাণ্ডে নতুন মোড়! খারিজ গণধর্ষণের অভিযোগ, বীর্য একজনেরই

_

_

_

_

_
_


