শক্তি খুইয়ে মন্থা এখন গভীর নিম্নচাপ, ৩ মৃত্যুর পরও জারি প্রবল বৃষ্টি

Date:

Share post:

বঙ্গোপসাগরে তৈরি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মন্থা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ল্যান্ডফল শুরু করেছিল। অন্ধ্রের উপকূলবর্তী এলাকায় চালায় তাণ্ডব। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhrapradesh) উপকূলে দীর্ঘ চার ঘণ্টা সেই প্রক্রিয়া চলার পর কার্যত শক্তি হারায় মন্থা (Mon-tha)। বুধবার অন্ধ্রের একাধিক জেলা থেকেই লাল সতর্কতা সরিয়ে নিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যদিও অন্ধ্র থেকে বাংলার উপকূল পর্যন্ত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিম্নচাপের (deep depression) জের বজায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় মন্থার ল্যান্ডফল (landfall) প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে প্রায় ৬ ঘণ্টা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলে। এর প্রভাবে সব থেকে বেশি ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে মছলিপত্তনম ও কলিঙ্গপত্তম এলাকায়। অন্ধ্রের প্রায় ৬৫টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত সমুদ্রের জল ঢুকে। অন্যদিকে জাতীয় সড়কের উপর গাছ উপড়ে বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। মামিদিকুদুরু এলাকায় বাড়ির উপর গাছ উপড়ে পড়ে এক মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও আরও দুই মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে সরকারের তরফে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

অন্যদিকে ওড়িশাতে (Odisha) বেশ কিছু গাছ উপড়ে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। বিপর্যস্ত গঞ্জাম জেলা। মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানিয়েছেন, গাছ উপড়ে বিপর্যয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধসে ক্ষতি হয়েছে। যদিও প্রাণহানির মত বড় ক্ষতির খবর নেই।

বুধবার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় গভীর নিম্নচাপের (deep depression) চেহারা নিলেও দুর্যোগ কমেনি অন্ধপ্রদেশে (Andhrapradesh)। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উপকূলবর্তী জেলাগুলি। বুধবার মন্থার জেরে সতর্কতা জারি হয়েছে ঝাড়খন্ড এবং ছত্তিশগড়ে। সকাল থেকেই এই দুই রাজ্যে ঝড়ের দাপট টের পাওয়া যাবে বলে, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। দুই রাজ্যে পাঠানো হয়েছে এনডিআরএফ (NDRF) বাহিনী।

আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ে আছড়ে পড়ল মন্থা! বিপর্যস্ত অন্ধ্রপ্রদেশ, প্রভাব পড়ল দক্ষিণবঙ্গেও

মন্থা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে টের পাওয়া গিয়েছে বাংলার হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর এবং দুই চব্বিশ পরগনায়। সেই প্রভাব জারি রয়েছে বুধবার সকালেও। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় জারি রয়েছে প্রবল বৃষ্টি। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া জেলা জুড়ে মেঘলা আকাশ এবং দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই পূর্বাভাস মিলে গিয়েছে বুধবার সকাল থেকেই। উপকূলবর্তী (coastal) এলাকার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বুধবার উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরের জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে।

spot_img

Related articles

বৃষ্টির দুর্যোগে খোলা হচ্ছে চন্দননগরের বড় বড় পুজোর তোরণ!

ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে অন্ধ্র উপকূলে, দুর্যোগের প্রভাব পড়েছে বাংলায়। সকাল থেকে রাজ্যজুড়ে দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির ছবিটা ধরা...

মন্থার প্রভাবে সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি, কৃষকদের আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা কৃষি বিভাগের

ঘূর্ণিঝড় মন্থার (Mantha) প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বুধবার কলকাতায় সকাল চলছে দফায় দফায় বৃষ্টি। অসময়ের...

বিহার SIR-এর ধাপ্পা প্রমাণিত: দুই তালিকায় নামে পাল্টা তোপ পিকের

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবার নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা কারচুবির ছবি তুলে ধরেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata...

ব্লু লাইন মেট্রোতে পুরনো গেট বদলানোর সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের

কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) ব্লু লাইনে (Blue Line) যাত্রীসুবিধা বাড়াতে পুরনো ও বিকল স্বয়ংক্রিয় গেট বদলে নতুন গেট...