ভয়াবহ দুর্যোগ পেরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানোর পর্যায়ে উত্তরবঙ্গ। রাজ্য প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের লাগাতার পরিষেবা ও পদক্ষেপে যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে স্থানীয় মানুষের নথি তৈরির কাজে তৎপরতা চলছে। এই পরিস্থিতিতে নিজে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ফের উত্তরবঙ্গে (North Bengal) যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার বাগডোগরা হয়ে উত্তরবঙ্গে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাশাসককে (district magistrates) মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ রাখতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) প্রতিটি জেলার প্রশাসনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট, ত্রাণ (relief) বিতরণের তথ্য এবং পুনর্গঠনের অগ্রগতি বিস্তারিতভাবে প্রস্তুত রাখতে।

রাজ্য সরকার বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে পদক্ষেপগুলি নিয়েছে, সেই কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়েও এই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। সফরের প্রথম দিনেই শিলিগুড়িতে (Siliguri) প্রশাসনিক বৈঠকে (administrative meeting) বসবেন তিনি। শিলিগুড়ির বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী, বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা।

মুখ্যমন্ত্রী পূর্ববর্তী পরিস্থিতিতে আগেই জানিয়েছিলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষ আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের (natural disaster) সময় তাঁরা যে সাহস দেখিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়। আমি তাঁদের পাশে আছি, থাকবও। রাজ্য সরকার তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য সবরকম সাহায্য করবে।’

আরও পড়ুন: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী! সফল ট্রায়াল রান, সোমবার খুলে যাচ্ছে দুধিয়া সেতু

গত মাসের প্রবল বর্ষণ ও ধসের কারণে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার বহু এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু পরিবার গৃহহীন হয়েছে, ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল পরিমাণে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে প্রাথমিক আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এলাকাগুলি পরিদর্শন (visit) করে পরবর্তী পুনর্বাসন (rehabilitation) পরিকল্পনা নির্ধারণ করবেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের সমস্যার কথা শুনবেন। সেই সঙ্গে নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এই সফরে উত্তরবঙ্গের পরিকাঠামো, সড়ক যোগাযোগ ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়েও পর্যালোচনা করবেন। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় যেসব রাস্তা ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলি দ্রুত মেরামতির নির্দেশ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

–

–

–

–


