Saturday, November 8, 2025

জন্মদিনে মানুষের ভালবাসা মনে করিয়ে দেয় কর্তব্য: ভিড়ে মিশে গেলেন অভিষেক

Date:

Share post:

সকাল হওয়ার অপেক্ষা নয়। রাত ১২টা বাজার অপেক্ষায় ছিল বাংলার বিপুল জনতা। জননেতা, তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জন্মদিন (birthday) বলে কথা। রাত থেকেই শুভেচ্ছা বার্তা (wishes)। আর বেলা বাড়তেই কালীঘাটের (Kalighat) বাড়ির সামনে ভিড় জমান দলীয় কর্মী সমর্থক থেকে অনুরাগীরা। তাঁদের এত বিপুল পরিমাণ ভালবাসায় আপ্লুত অভিষেকের দাবি, এই গণদেবতা-কে পরিষেবা দিতে পারাই তাঁর সৌভাগ্য।

শুক্রবার ৭ নভেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। প্রতি বছরের মতো এবারও শুভেচ্ছা ও আবেগের বন্যায় ভেসে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দুপুর হতে না হতেই কালীঘাটে অভিষেকের বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে থাকেন দলের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। কলকাতা তো বটেই, জেলা থেকেও বহু নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা আসেন। প্রায় সকলেই কিছু না কিছু উপহার নিয়ে এনেছিলেন। ফুলের তোড়া থেকে পোস্টার-ব্যানার এমনকী প্রমাণ সাইজের বোর্ডে অভিষেকের সঙ্গে মেয়ে আজানিয়ার ছবি এঁকে এনেছিলেন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের একদল কর্মী।

এদিন কাউকেই ফেরাননি বার্থ-ডে বয় অভিষেক। দফায় দফায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে জনগণের ভিড়ে মিশে গিয়েছেন তিনি। একের পর এক কেক কেটেছেন। সেলফির আবদারও মিটিয়েছেন। দুপুর-বিকেল গড়িয়ে যত সন্ধ্যা নেমেছে ততই বাড়ির সামনে বাঁধ-ভাঙা উচ্ছ্বাসও সমানে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। টানা বেজে চলেছে ধামসা-মাদল। সঙ্গে তুমুল  স্লোগান। সন্ধ্যায় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকে তাঁর কাছে যান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷

দিনভর জন্মদিনের এই উন্মাদনায় আপ্লুত অভিষেক অবশ্য তাঁর কর্তব্য ভোলেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতে তিনি জানান, জন প্রতিনিধির জীবন পদমর্যাদা দিয়ে পরিমাপ করা হয় না। বরং জনগণের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গভীরতা দিয়েই তা পরিমাপ করা হয়। প্রতিটি আস্থার অঙ্গীকার, প্রতিটি উৎসাহের শব্দ, তাঁদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিটি আশীর্বাদ প্রকৃত নেতৃত্বকে সংজ্ঞায়িত করে, এমন পবিত্র বন্ধনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: পয়লা ডিসেম্বর থেকে ফের শুরু সেবাশ্রয়: সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানালেন স্বয়ং অভিষেক

তিনি সেই সঙ্গে যোগ করেন, আজ আমার জন্মদিনে (birthday), অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষীর উষ্ণতা এবং স্নেহ আমাকে অভিভূত করেছে। তাঁদের ভালবাসাই আমার কর্তব্য এবং আমাকে যে প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে তা মনে করিয়ে দেয়। গণদেবতাকে সেবা করা এমন একটি সৌভাগ্য যা আমাদের প্রতিটি প্রচেষ্টা এবং প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে অর্থবহ করে তোলে। আমার প্রতি তাঁদের বিশ্বাসই আমার এগিয়ে যাওয়ার, গড়ে তোলার, সেবা করার এবং বৃহত্তর কল্যাণের জন্য প্রতিটি মুহূর্ত উৎসর্গ করার সংকল্পকে শক্তিশালী করে।

spot_img

Related articles

সৌরভ ছাড়া অন্য কারও ICC সভাপতি থাকার কথা নয়: বললেন ‘ঠোঁটকাটা’ মমতা

ছিল বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। শনিবার ইডেনে সেই অনুষ্ঠানে বোমা ফাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের...

বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন দল! চেয়ারম্যান হিসাবে নিজের নাম ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের

বারবার দল বিরোধী কথাবার্তা। দলের পদক্ষেপ নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা। এবার মুখোশ খুলল হুমায়ুন কবীরের। তিনি এবার নিজেই দল...

আপনি কি মোটা বা সুগারের রোগী? বাতিল হতে পারে আপনার মার্কিন ভিসা

বিদেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম লাগু করল আমেরিকা। দেশের সম্পদ রক্ষা করার নামে এবার একাধিক শারীরিক...

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি বাধ্যতামূলক, বিএলওদের ওপর কড়া নজর কমিশনের

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) প্রক্রিয়া ঘিরে নতুন নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ উঠেছিল, অনেক বিএলও...