নিয়ম না মেনে খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানো। তার জেরে বড় সড় ধস উত্তরপ্রদেশের শোনভদ্রের পাথর খনিতে (stone quarry)। শুক্রবার ধস (landslide) নামলেও ২৪ ঘণ্টাতেও উদ্ধার করা গেল না আটকে থাকা প্রায় ১৫ শ্রমিককে (miners)। এমনকি এক শ্রমিকের দেহ আটকে থাকার কথা বলা হলেও তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে এক শ্রমিকের মৃতদেহ খনি থেকে বের করা সম্ভব হয়েছে।

শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের শোনভদ্রের (Sonbhadra) বিল্লি মারকুণ্ডি খনি এলাকায় খনন কাজ চলার সময় ধস নামে। শ্রমিকদের অভিযোগ পাথরের খনিতে ব্লাস্টিং করার পরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে (collapse) পড়ে খনির ছাদ ও দেওয়াল। সেই সময়ে খনিতে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে দাবি শ্রমিকদের। সকলেই সেই ধ্বংসস্তূপের (debris) মধ্যে চাপা পড়ে যায়। শুক্রবার এই ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ প্রায় ১৫ জন শ্রমিক (miners)।

খনিতে কাজ করার সময় যে নিয়ম মানা হয়নি, তা স্পষ্ট করে দেয় স্থানীয় পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি রাজীব কৃষ্ণ জানান, শুক্রবার শোনভদ্রে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সভা ছিল। সেই কারণে পাথর খনির কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা অমান্য করেই যে খনিতে ব্লাস্টিং (blasting) করা হয়েছে, এই দুর্ঘটনায় সেটা প্রমাণিত। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় এনডিআরএফ (NDRF) ও এসডিআরএফ (SDRF)। স্থানীয় জেলা শাসক থেকে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা পৌঁছেও উদ্ধার কাজ দ্রুত করাতে ব্যর্থ।

আরও পড়ুন : টাটা সুমো-ডাম্পারের সংঘর্ষ, জম্মু-কাশ্মীরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৪ আহত একাধিক

পুলিশের দাবি, খনির ভিতরে ১০ শ্রমিক আটকে রয়েছে। সেই সঙ্গে একটি মৃতদেহ। তবে যোগী আদিত্যনাথের সভার জন্য কেন খনিতে ব্লাস্টিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে কী খনিতে যে কোনও সময়ে বিপদ হতে পারে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রশাসন আগেই করেছিল? এই ঘটনায় খনি মাফিয়াদের (mafia) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে উত্তরপ্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)। নির্দেশ সত্ত্বেও যদি খনিতে ব্লাস্টিং বন্ধ না হয়ে থাকে তবে কোন সাহসে, কোন মাফিয়ার জোরে সেই কাজ চলছিল, প্রশ্ন সমাজবাদী পার্টির।

–

–

–

–

–


