সংশোধনাগারের কর্মীদের তথ্য হবে ডিজিটালাইজড: নিয়োগ হচ্ছে কর্মী

Date:

Share post:

সংশোধনাগার দফতরের কাজকর্মকে আরও স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করে তুলতে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে কর্মরত প্রায় ৪ হাজার কর্মীর সার্ভিস রেকর্ড (service record) এবার ডিজিটাল (digital) ভাবে সংরক্ষণ করা হবে। বহু বছর ধরে পুরনো কাগুজে নথির উপর নির্ভরশীল এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে রাজ্যের কারা দফতর নিরাপদ ও আধুনিক ডিজিটাল নথি সংরক্ষণের এই উদ্যোগ শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের কেন্দ্রীয়, জেলা, বিশেষ ও সাবসিডিয়ারি সংশোধনাগার-সহ সংশোধনাগার দফতরের বিভিন্ন কার্যালয়ে মোট প্রায় ২০ জন চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর (data entry operator) নিযুক্ত করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কর্মীদের ব্যক্তিগত ফাইল গুছিয়ে আনাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।

নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত ডিজিটালাইজেশনের কাজ সংশোধনাগারের দফতরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে। কোনও নথি বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। কোনও নথির প্রতিলিপি রাখা বা কপি করা যাবে না। এই নিয়ম ভাঙলে সংশ্লিষ্ট ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে সঙ্গে সঙ্গে বদল করতে হবে। ছয় মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিকভাবে শুরু হওয়া এই প্রকল্প প্রয়োজনে বাড়ানো হতে পারে। সংস্থাগুলিকে পিএফ, ইএসআই, ন্যূনতম মজুরি, বিমা সহ সমস্ত বিধিবদ্ধ নিয়ম মানতেই হবে। মাসিক বিল মেটানো হবে কেবলমাত্র তখনই, যখন নিশ্চিত হবে নিযুক্ত কর্মীদের মজুরি এবং অন্যান্য বকেয়া পুরোপুরি পরিশোধ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, প্রয়োজনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মী পাঠাতে হবে। এতদিন যেসব ম্যানুয়াল রেজিস্টারের (manual register) উপর কাজ চলত, সেই ব্যবস্থা বদলে গেলে নিত্যদিনের কার্যক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনই কাজ আরও গুছিয়ে করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। দফতরের এক আধিকারিক জানান, ফাইলগুলো আপডেটেড, নির্ভরযোগ্য ও সঠিক থাকা জরুরি। পদোন্নতি, বদলি, বেতন সংশোধন— সব ক্ষেত্রেই নথির অসংগতি সমস্যা তৈরি করে। এই পদক্ষেপ কর্মী-সম্পর্কিত নথি গুছিয়ে আনার পাশাপাশি সংশোধনাগারগুলির দৈনন্দিন কার্যক্রমেও সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন : সুন্দরবন উন্নয়নে রাজ্যের ১২ দফতরের সমন্বয়: বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় ঢালাও প্রকল্প

স্পষ্ট নথি থাকলে হঠাৎ করে নিরাপত্তাকর্মী, ওয়েলফেয়ার অফিসার বা এস্কর্ট টিমের অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কমবে। এতে আদালতে হাজিরা, পুনর্বাসন শ্রেণি বা চিকিৎসা পরিষেবা— কোনও ক্ষেত্রেই সংকটের মুখে পড়তে হবে না। দপ্তরের মতে, প্রশাসনিক দেরি কমলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে এবং পরিষেবা আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে।

spot_img

Related articles

নাগরিকত্বের জন্য অনশনে মতুয়ারা, লন্ডনে প্রমোদ ভ্রমণে শান্তনু ঠাকুর!

নাগরিকত্ব থাকবে, না যাবে? আবার কি নতুন করে প্রমাণ করতে হবে যে তাঁরা ভারতীয়? এই দুশ্চিন্তায় যখন গোটা...

স্বর্ণব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার আরও ১: দোষীদের মোবাইলে বিডিও-যোগ

নিউটাউনের দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে চতুর্থ গ্রেফতারি বিধাননগর গোয়েন্দা বিভাগের। কোচবিহার থেকে বিবেকানন্দ সরকার নামে এক যুবককে গ্রেফতার...

পরিষেবা ও কাজে খামতি কোথায়: পঞ্চায়েতের মূল্যায়নে এবার শুরু বৈঠক

রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শেষ নেই। সাধারণ মানুষের কাছে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমেই পৌঁছে দিয়ে থাকে রাজ্যের প্রশাসন। তবে পঞ্চায়েতগুলি...

গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া উচিত: বিরোধীদের বার্তা পিকে-র

বিহারে কেউ দাবি করছেন ভোটার তালিকা। কারও অভিযোগ ভোটার সংখ্যা নিয়ে। আবার কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল এসআইআর (SIR)...