ভোটার তালিকা সংশোধন পর্বে সার্ভার সমস্যায় জর্জরিত বিএলওদের কাজ দ্রুততর করতে বিশেষ অ্যাপ চালু করল রাজ্য নির্বাচন দফতর। নতুন এই ব্যবস্থায় কোন জেলার কোন এলাকায় সার্ভার ভেঙে পড়ছে, নেটওয়ার্ক দুর্বল—এসব তথ্য সরাসরি জানাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসাররা (ডিইও)। তথ্য পৌঁছে যাবে রাজ্যের স্বীকৃত আটটি টেলিকম সংস্থার কর্তা ও প্রযুক্তি টিমের কাছে। একই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থাকবেন সিইও মনোজ কুমার আগরওয়ালসহ দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা। ফলে সমস্যা শনাক্তকরণ ও দ্রুত সমাধানের পথ খুলে গেল

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন প্রান্তে এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজড করে আপলোড করতে গিয়ে সার্ভার জটে পড়তে হচ্ছিল বিএলওদের। অভিযোগের পাহাড় জমতেই নড়েচড়ে বসে সিইও দফতর। সোমবার টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে সিইও মনোজ আগরওয়াল স্পষ্ট বার্তা দেন—চারবার সমস্যা হলে অজুহাত চলবে না, চাই তৎক্ষণাৎ সমাধান। তাঁর এই কড়া অবস্থানের পরই সংস্থাগুলির তরফে আশ্বাস দেওয়া হয় যে মাঠপর্যায়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই আলোচনার ভিত্তিতেই তৈরি হয় বিশেষ অ্যাপটি, যেখানে ডিইও নির্দিষ্ট লোকেশন ট্যাগ করে অভিযোগ জানালে সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থা সেই এলাকায় নেটওয়ার্ক বা সার্ভার সমস্যার সমাধানে নামবে।

সিইও দফতরের দাবি, নতুন অ্যাপ চালু হওয়ায় বিএলওদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটবে। কাজের ধীরগতি বা বিঘ্নিত হওয়া উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে, ফলে ভোটার তালিকা সংশোধন কর্মসূচিও গতি পাবে। এদিকে কাজের মানোন্নয়নে বিএলওদের উৎসাহিত করতে নতুন উদ্যোগও নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যে সব বিএলও নির্ধারিত সময়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি, সংগ্রহ, ডিজিটাইজেশন এবং সফল আপলোডের কাজ শেষ করেছেন, তাঁদের দেওয়া হবে শংসাপত্র ও আর্থিক পুরস্কার। আপাতত ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ‘কাট–অফ ডেট’ নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ডিইওরা যোগ্য বিএলওদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের হাতে শংসাপত্র ও পুরস্কার তুলে দেবেন। সোমবার রাতের ভার্চুয়াল বৈঠকে ডিইওদের সঙ্গে এই সিদ্ধান্তসহ সার্ভার সমস্যার সমাধানে গৃহীত নতুন পরিকল্পনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন সিইও মনোজ আগরওয়াল।

আরও পড়ুন – কিংবদন্তি অভিনেতা-নায়ক ধর্মেন্দ্রের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ মমতা-অভিষেকের

_

_

_

_

_

_
_

