তাঁরই লোকসভা ক্ষেত্রের বাসিন্দা সোনালি খাতুন। বৈধ ভারতীয় হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক (push back) করেছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে সংসদে সুর চড়িয়েছিলেন বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। আর তাতেই মুখোশ খুলে গেল বাংলা বিরোধী (anti-Bengali) কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের। তাঁকে বলতে না দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল মাইক।
শুক্রবার বাংলা-বিরোধী বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদ তথা সংসদে তৃণমূলের উপদলনেতা শতাব্দী রায় বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের ক্রমাগত হেনস্থার প্রসঙ্গ তুললে চরম নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাংলায় কথা বলা অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুনকে (Sunali Khatun) বাংলাদেশে পুশব্যাক নিয়ে বলতে গেলেই তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ শতাব্দীর। তিনি বলা শুরু করতেই তাঁকে থামিয়ে বিজেপি সাংসদ সাংসদ যুগল কিশোরকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর ট্রেজারি বেঞ্চে গিয়ে বিজেপি সাংসদের মাইক ব্যবহার শতাব্দীর। বিজেপি সাংসদের মাইকেই বক্তব্য রাখার চেষ্টা করেন তিনি।

শতাব্দীর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), শিরোমণি অকালি দল (SAD) সাংসদ হরসিমরত কওর বাদল প্রমুখ৷ গোটা বিরোধী শিবির শতাব্দীকে সমর্থন করে৷ বেগতিক দেখে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে এগিয়ে আসেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)৷ শতাব্দীকে শান্ত করতে এগিয়ে আসেন বিজেপির মহিলা সাংসদরাও৷

আরও পড়ুন : মনরেগার ৫২ হাজার কোটি পাওনা! বাংলার প্রাপ্য টাকা মেটাতে সংসদ চত্বরে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সাংসদরা

শতাব্দী (Satabdi Roy) তাঁদের সাফ জানান, তিনি কোনও ভিক্ষা চাইছেন না৷ লটারিতে বক্তা হিসেবে তাঁর নাম উঠেছে৷ সেই মতই তিনি বক্তব্য রাখবেন৷ শেষে তাঁর দাবিকেই মান্যতা দিতে বাধ্য হন প্যানেল চেয়ারপার্সন কে পি তেন্নেতি৷ তাকে বক্তব্য রাখার জন্য মাত্র ১ মিনিট সময় দেওয়া হয়৷ সঙ্গে সঙ্গেই নিজের আসনে ফিরে গিয়ে শতাব্দী তোপ দাগেন ট্রেজারি বেঞ্চকে লক্ষ্য করে৷ বলেন, আমরা বাংলা ভাষার অপমান সইবো না- বাংলায় কথা বললেই যদি বাংলাদেশি বলে তকমা লাগানো হয়, তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তাহলে হিন্দি এবং উর্দুতে কথা বলা বিজেপি সাংসদদের পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে না কেন ? শতাব্দী রায়কে সমর্থন জানায় গোটা বিরোধী শিবির৷

–

–

–

–

–


