তৃণমুলের বাতিল ছাঁট যুগলকে নিচ্ছে না বিজেপি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সুনজরে পড়ায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ হয়েছিল রাজন্যার। কিছু সাংগঠনিক দায়িত্বও দিয়েছিল তৃণমুল কংগ্রেস। কিন্তু নিজেদের “অওকত” না বুঝেই ছাঁট যুগল হওয়ায় উড়তে শুরু করল। কাজের কাজ কিছু নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় চলল দল ভাঙিয়ে নিজেদের ব্র্যান্ডিং।
কথা হচ্ছে ছাঁটযুগল রাজন্যা ও প্রান্তিককে নিয়ে। তৃণমুল থেকে কার্যত লাথি খাওয়া এই দুজন ধান্দাবাজ চেষ্টা করেছিল বিজেপিতে যোগ দিয়ে আগামী বছর বিধানসভা ভোটে লড়ার। কিন্তু কপাল খারাপ ধান্দাবাজ দম্পতির। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বঙ্গ বিজেপিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে , তৃণমূলের এই দুই বাতিল ধন্দাবাজকে দলে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। এরা নিজেদের ক্ষমতায় পুরসভার নির্বাচনও জিততে পারবে না। এইসব ছাঁট এখন নেওয়া চলবে না।

রবিবার রাত থেকেই এদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা চলছিল। রাজন্যা হালদারের ফেসবুকে ফুল বদলের স্পষ্ট ইঙ্গিত সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু বেলায় বিজেপির অন্দরমহলে বার্তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, তৃণমুলের নাম ভাঙিয়ে এরা নিজেদের ব্র্যান্ডিং করেছে। কিন্তু আরজি কর-এর ঘটনায় তৃণমূল যখন কোণঠাসা, তখন পাতে দেওয়ার মতো নয় এরকম একটি ছবি বানিয়ে এই দম্পতি দলকে অস্বস্তিতে ফেলে। দল একাধিকবার বললেও এরা কথা কানে তোলেনি। বরং টানা ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। নিয়মিত টিভি সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলকে আক্রমণ ও কুৎসা চালিয়ে যেতে থাকে। তলায় যোগাযোগ করে বিজেপির সঙ্গে। মনের ইচ্ছে রাজন্যা সোনারপুর থেকে প্রার্থী হবে। সে আশায় জল ঢেলে দিয়ে বিজেপি ওদের পথে বসিয়ে দিল।

এখন না ঘরকা না ঘাটকা! পাগলেও নিজের ভাল বোঝে। কিন্তু এই ধান্দাবাজ দুজন বুঝল না! আসলে আচমকা লাইমলাইট পেয়ে মাথা ঘুরে গিয়েছিল। দলের সহকর্মীদের সঙ্গে শুরু হয়েছিল দুর্ব্যবহার। দলের তরফে রাজন্যাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলেও সেখানে সাংগঠনিকভাবে কিচ্ছু করে উঠতে পারেনি। সেই সময় ব্যস্ত ছিল মিডিয়াকে হাতে রেখে খবরে থাকার লক্ষ্যে। সময় সব হিসেব বুঝিয়ে দিয়েছে। যাদের বঞ্চিত করে এই দুই ধান্দাবাজকে দল এগিয়ে দিয়েছিল, তারাই এখন বলছে দেখ কেমন লাগে! ছাত্র যুবদের হাজার হাজার কর্মী পরিশ্রম করে চলেছে। আর এরা তার ফসল ভোগ করেছে। কিন্তু সাফল্য হ্যান্ডেল করার জন্য যে পরিণত বোধ ও মাটিতে পা রাখার মত শিক্ষা দরকার হয়, সেসব এদের নেই। তাই পতন অনিবার্য। তবে বিজেপি আজ নেবো না বলেছে। কাল আবার নিতেও পারে। কিন্তু এইসব পুতিগন্ধময় বাতিল ধন্দাবাজদের নিয়েও কি কোনও লাভ হতো বা হবে!

আরও পড়ুন- ‘রুশা’ প্রকল্পের টাকা নিয়ে সুকান্তর মিথ্যাচার: ‘ভিত্তিহীন’ বলে ওড়ালেন ব্রাত্য

_

_

_

_

_
_


