এবার কুম্ভ মেলা না হওয়ায় গঙ্গাসাগর মেলায় রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থীর সমাগম হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন। সম্ভাব্য জনসমাগম সামাল দিতে পুণ্যার্থীদের পরিচয়পত্রের পাশাপাশি রিস্ট ব্যান্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠকে এই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও ভিআইপি সংস্কৃতি চলবে না। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেটাই প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য।
মেলা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে একাধিক মন্ত্রীকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন বেচারাম মান্না, পুলক রায়, সুজিত বসু, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশীষ চক্রবর্তী এবং মানস ভুঁইয়া। কলকাতা থেকে সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার প্রস্তুতি বৈঠকেই এই দায়িত্ব বণ্টন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রস্তুতি বৈঠকে ভিড় ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, যাতায়াত ব্যবস্থা এবং জরুরি পরিষেবা নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দেন, পুণ্যার্থীদের চলাচল ও স্নানপর্ব যাতে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ ভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। কোনও রকম বিশেষ সুবিধা বা আলাদা ব্যবস্থার মাধ্যমে ভিআইপি সংস্কৃতি তৈরি করা যাবে না বলেও তিনি জানান।

এছাড়াও বৈঠকে গঙ্গাসাগর মেলা সংক্রান্ত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। মৎস্যজীবীরা কেন বারবার সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় চলে যাচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টিকে নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে নজরদারি আরও বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, মেলা চলাকালীন প্রশাসনিক সমন্বয়, ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিন পর্যালোচনা করা হবে। গঙ্গাসাগর মেলা যাতে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সেই লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার প্রস্তুতি আরও জোরদার করছে।

আরও পড়ুন- জলসীমায় ঢুকে হামলার অভিযোগ বাংলাদেশী নৌ বাহিনীর বিরুদ্ধে, নিখোঁজ ৫ মৎস্যজীবী

_

_

_

_

_
_


