নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালিতে (Hanskhali) নাবালিকার গণধর্ষণ-খুনে ৩ তিন দোষীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল রানাঘাট মহকুমা আদালত (Ranaghat Sub-divisional Court)। তাঁদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দোষী একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় সোমবারই ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। মঙ্গলবার তাঁদের শাস্তি ঘোষণা করলেন বিচারক।
সোহেল গয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিককে যাবজ্জীবন সাজা শোনানো হয়েছে। পাশাপাশি, এই মামলায় সেসময়ের পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালকে পাঁচবছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। সোহেলের বাবা তথা তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্র গয়ালি, দীপ্ত গয়ালি এবং আরও একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। নির্যাতিতার পরিবারকে ভয় দেখানো, নাবালিকার দেহ শ্মশানে নিয়ে যেতে বাধ্য করা এবং সম্মিলিত ষড়যন্ত্রে শামিল হওয়ার অভিযোগে প্রতিবেশী অংশুমান বাগচীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

২০২২ সালের ১০ এপ্রিল হাঁসখালিতে (Hanskhali) গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যের পুত্র ও তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ৫ এপ্রিল স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের পুত্রের জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রিত নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত সদস্যের পুত্র এবং তাঁর কয়েক জন বন্ধুর বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যাওয়া হয় নির্যাতিতাকে। পরে নির্যাতিতার মৃত্যু হলে প্রমাণ লোপাটের জন্য তাড়াতাড়ি দেহ সৎকার করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও খবর: সাইবার জালিয়াতির শিকার হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পঞ্জাবের প্রাক্তন আইপিএস!

হাঁসখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। এমনকী, পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলাও দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। ঘটনার তদন্ত ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। নির্যাতিতার পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মামলায় ৯ জনকে দোষী সাবস্ত করে রানাঘাট মহকুমা আদালত। এদিন মামলার সাজা ঘোষণা হল।

–

–

–

–

–

–


