দ্বীপ এলাকার বাসিন্দাদের নির্বাচন কমিশনের শুনানির জন্য হাজির হতে হবে সরকারি দফতরে। তাও সেটা খুবই সামান্য নামের বানানের সমস্যায়, যাকে লজিকাল ডিসক্রিপেন্সি (logical discrepancy) বলে ধরা হচ্ছে! এসআইআর (SIR) করে কার্যত সাধারণ মানুষকে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) হয়রান করার এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস (AITC)। সেই সঙ্গে অভিযোগ তোলা হল ২৯৪টি বিধানসভার মধ্যে মাত্র ৮১টি বিধানসভাকে বেছে নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে সমীক্ষা (survey) চালানো হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া কীসের ভিত্তিতে করা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।
সাধারণ মানুষ নভেম্বরের শুরু থেকে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার। এসআইআর-এর শুনানি (hearing) প্রক্রিয়াতেও সেই একই হয়রানি ও বিভ্রান্তি অব্যাহত। প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন দফতরে সিইও মনোজ আগরওয়ালের (Manoj Agarwal) সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, পুলক রায়, সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও বাপি হালদার। স্পষ্টভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরে তার উত্তর দাবি করা হয়।

তৃণমূল প্রতিনিধিরা তুলে ধরেন লজিক্যাল ডিসক্রিপেন্সির (logical discrepancy) প্রশ্ন, যেখানে সামান্য বানান ভুলের জন্য শুনানির (hearing) হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেই শুনানির জন্য তাঁদের আসতে হবে জেলাশাসকের দফতরে, অনেক ক্ষেত্রে যা ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে। কোথাওবা দ্বীপ বা পাহাড় পেরিয়ে আসতে হবে সাধারণ মানুষকে। এই হয়রানির সম্মুখীন না হলে তাঁদের নাম বাদ যাবে ভোটার তালিকা থেকে। কমিশনের কাছে এর জবাবদিহি চায় তৃণমূল প্রতিনিধিদল।


যেভাবে নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক ঘোষণায় একাধিক আত্মীয়ের পরিচয় গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা বাদ দিয়ে খসড়া ভোটার তালিকায় নাম তোলার প্রক্রিয়া হয়েছে। তার প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে আধার কার্ডকে প্রামাণ্য নথির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদ জানান তৃণমূল প্রতিনিধিদল।

মঙ্গলবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৮১টিকে বেছে নিয়ে সেখানে নলেজ, অ্যাটিটিউড, প্র্যাকটিস (KAP) সার্ভে করা হচ্ছে। কোন যুক্তিতে মাত্র ৮১টিকে বেছে নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হচ্ছে তার জবাব চাওয়া হয়। সেইসঙ্গে একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে কিভাবে নির্বাচন কমিশন এই সমীক্ষা (survey) চালাচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

আরও পড়ুন : ফের সিইও দফতরের সামনে বিএলওদের বিক্ষোভ-অশান্তি

প্রতিনিধিদল দাবি করে সিইও মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন তাঁদের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কিত তথ্য হাতে পেলে তা তুলে দেবে, প্রতিনিধি দলের হাতে। যদিও কমিশন তাঁদের কথা কতটা রাখবেন তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

–

–



