রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রবীণ, গুরুতর অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের শুনানিতে হাজির হতে বাধ্য করা যাবে না—এমনই স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন দফতর। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটারদের অধিকার রক্ষা এবং মানবিক আচরণ নিশ্চিত করাই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ভোটার, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধী ভোটারদের ক্ষেত্রে বিশেষ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে। এই শ্রেণির ভোটাররা নিজেরা অথবা তাঁদের হয়ে কেউ অনুরোধ জানালে তাঁদের শুনানির জন্য ডাকা যাবে না। ইতিমধ্যেই যদি কোনও নোটিশ জারি হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভোটারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে জানাতে হবে।

নির্বাচন দফতর আরও জানিয়েছে, প্রয়োজনে যাচাই প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট ভোটারের নিজ বাসভবনেই সম্পন্ন করা হবে। কোনও পরিস্থিতিতেই যাতে বয়স্ক বা শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের অযথা হয়রানির শিকার হতে না হয়, সে বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
ইআরও, এয়ারও এবং বিএলওদের উদ্দেশে পাঠানো নির্দেশিকায় স্পষ্ট করা হয়েছে, সংশোধনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখার পাশাপাশি ভোটারদের সম্মান ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করাও কমিশনের অন্যতম লক্ষ্য। নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা যেমন জরুরি, তেমনই নাগরিকদের মর্যাদা ও মানবিকতার বিষয়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই প্রবীণ, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য এই ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”

আরও পড়ুন – বাঁশ-লাঠি দিয়ে মার, তারপর পুলিশে তুলে দেওয়া! ওড়িশা থেকে কোনওমতে মালদহে পরিযায়ী

_

_

_

_

_
_


