রাত পোহালেই গণনা, করোনা সংক্রমণ রোখাই বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের

রাত পোহালেই চার রাজ্যের সঙ্গে বাংলার রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় কে আসবে? বাংলার মসনদে (West Bengal Assembly) আগামী ৫ বছরের জন্য করা বসবে, তা ঠিক হয়ে যাবে আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই। তবে গোটা দেশের নজর বাংলার ফলাফলের দিয়ে। “মোদি” VS “দিদি” লড়াইয়ে শেষ হাসি কার জন্য অপেক্ষা করছে, তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল। অধিকাংশ বুথ ফেরৎ সমীক্ষায় (EXIT POLL) অবশ্য মমতার (Mamata Banerjee) তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত দিয়েছে। আবার কেউ কেউ জয় দেখছে মোদির (Narendra Modi).

বাংলার হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) রেকর্ড ৮ দফার ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে ২৯ এপ্রিল। যা শুরু হয়েছিল ২৭ মার্চ। ম্যারাথন ভোটগ্রহণের পর আগামী কাল, রবিবার সকাল ৮টা থেকে ২৯২টি বিধানসভা আসনের জন্য ১০৮টি কেন্দ্রের ৭০৫টি হলে ভোটগণনা হবে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট (Postal Balot), তারপর ইভিএমের (EVM) গণনা (Counting)।

তবে করোনা (Corona) সংক্রমণের মধ্যে গণনা পর্ব নির্বিঘ্নে সেরে ফেলাটাই এখন নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের নিশানা করে আদালতের একাধিক মন্তব্য চাপে ফেলে দিয়েছে কমিশনকে। তাই সম্পূর্ণ করোনা বিধিকে মান্যতা দিয়ে গণনা কেন্দ্রগুলিতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কমিশন।

গতকাল, শুক্রবার থেকে বিভিন্ন গণনা কেন্দ্রে শুরু হয়ে গিয়েছে কোভিড টেস্ট। সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থী, নির্দল প্রার্থী, চিফ ইলেকশন এজেন্ট এবং এজেন্টদের করোনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে। নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই গণনা কেন্দ্রে যেতে হবে তাঁদের। আর তা না হলে সঙ্গে রাখতে হবে দু’বার ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট। করোনার কারণে গণনা কেন্দ্র নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কোভিড প্রোটোকল মেনে এবার কাউন্টিং হলে ১৪টি টেবিলের জায়গায় ৭টি টেবিল বসানো হচ্ছে। অন্যান্যবারের তুলনায় গণনায় কিছুটা বেশি সময় লাগবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের মধ্যে একজন অন্তর একজনের পিপিই কিট পরা বাধ্যতামূলক। আবশ্যিক রাখা হয়েছে মাস্ক পরাও। রাখতে হবে ফেসশিল্ড। প্রত্যেকটি গণনা কেন্দ্রের সঙ্গে কলকাতা ও দিল্লির নির্বাচন কমিশনের যোগাযোগ থাকবে। তবে একাধিক রিটার্নিং অফিসার ও পর্যবেক্ষক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। বেশ কয়েকজন প্রার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী মারাও গিয়েছে চারজন।

একদিকে যেমন করোনা সংক্রমণের মোকাবিলা, অন্যদিকে
গণনা কেন্দ্র ঘিরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গণনা কেন্দ্রের প্রবেশপথে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ, তারপর থাকবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ, কাউন্টিং হলে ঢোকার মুখে এবং স্ট্রং রুমে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনী। গণনার জন্য রাজ্যে ২৫৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে। ভোটের জন্য আসা বাকি আধাসেনা ফিরে গিয়েছে রাজ্য থেকে। গণনা কেন্দ্রের সামনে ২০০ মিটার পর্যন্ত থাকবে ১৪৪ ধারা।

  1. আরও পড়ুন:নির্দেশিকা জারির পরই শহরের দোকান-বাজারে ‘প্যানিক-শপিং’ শুরু, উপচে পড়েছে ভিড়

Advt

Previous articleনির্দেশিকা জারির পরই শহরের দোকান-বাজারে ‘প্যানিক-শপিং’ শুরু, উপচে পড়েছে ভিড়
Next articleডাক্তারবাবুদের প্রণাম, তবু জ্ঞান দেওয়ার আগে ভাববেন; কুণাল ঘোষের কলম