বুদ্ধবাবুকে ইলিশ পাঠালেন কে এবং কেন?

জন্মদিন উপলক্ষেই লেখক প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রীর জন্য জোড়া ইলিশ পাম অ্যাভিনিউয়ের ভট্টাচার্য্য বাড়িতে পাঠান। প্রসঙ্গত, ভট্টাচার্য্য ও গুহ বাড়ির সখ্যতা দীর্ঘ দিনের। লেখকের স্ত্রী,স্বনামধন্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ঋতু গুহের প্রয়াণের পরও সস্ত্রীক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য তাঁদের বালিগঞ্জের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে দুই পরিবারের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে কিন্তু যোগাযোগ রয়েছে।

এবছর লেখকের জন্মদিনের কয়েকদিন আগে কুশল বিনিময়ের জন্য প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী-পত্নী মীরা দেবী বুদ্ধদেব গুহকে ফোন করেন। তখনই প্রবীণ লেখক জানতে পারেন, চিকিৎসকের অনুমোদনক্রমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন তরল খাবার ছেড়ে ‘সলিড’ খাবার খেতে পারছেন। সেই সূত্র ধরে ‘ইলিশ যাত্রা’ ঘটে। লেখক এ প্রসঙ্গে বলেন,”সেদিন ওঁর স্ত্রী বললেন, গত কয়েক দিন ধরে সলিড খাবার খেতে পারছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, উনি কী খেতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন?‌ওঁর স্ত্রী বললেন, ইলিশ মাছ খেতে খুব ভালবাসেন। কিন্তু সে মাছ তো দু্র্মূল্য! আমি তখনই ওঁকে বললাম, আমার জন্মদিনে আমি ইলিশ মাছ খাব। আপনাদেরও পাঠিয়ে দিচ্ছি। কোনও দাম লাগবে না।” প্রসঙ্গত, জন্মদিন উপলক্ষে প্রবীণ লেখককে তাঁর এক গুণমুগ্ধ ব্যবসায়ী-পাঠক পেল্লাই সাইজের কিছু ইলিশ মাছ পাঠিয়েছিলেন। তারমধ্যে থেকে দুটো ইলিশ তিনি ভট্টাচার্য্য বাড়ি পাঠিয়ে দেন। যার বাজার মূল্য 10 হাজার টাকা! বুদ্ধবাবু সপরিবারে সে মাছ খেয়ে তৃপ্তিসহ লেখককে নিজে ফোন করে তাঁর ভালো লাগা জানান।

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleবিজেপির মত দেখতে, কিন্তু বিজেপি নয়