লাল ডায়েরি, হার্ড ডিস্ক এখনও মেলেনি, রাজীব মামলায় আদালতে CBI

সারদা-কাণ্ডের তথ্য লোপাটের দায়ে CBI ফের কাঠগড়ায় তুলেছে IPS রাজীব কুমারকে। একইসঙ্গে CBI-এর বক্তব্য, সারদাকাণ্ডের তদন্তে এখনও পর্যন্ত স্রেফ চুনোপুঁটিরাই ধরা পড়েছে। রাঘব বোয়ালরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টে CBI-এর আইনজীবী জোরালো সওয়ালে বলেন, সারদা-কাণ্ডে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নষ্ট করেছেন রাজীব কুমার। সারদার বিতর্কিত লাল ও হলুদ ডায়েরি এখনো CBI হাতে পায়নি। ওই ডায়েরিগুলিতে সারদার বিভিন্ন বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত লেখা রয়েছে। এখনও CBI পায়নি কম্পিউটারের মূল অংশ সিপিইউ। রাজীব কুমারের SIT কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করার নামে শুধুমাত্র মনিটর ও কিবোর্ড হেফাজতে নিয়েছিলো। হদিশ নেই তার মূল অংশ সিপিইউ। সারদাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর এই সংস্থার বিভিন্ন দফতরে তল্লাশি চালিয়ে কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করার নামে শুধু মনিটর ও কি বোর্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হার্ডডিক্স বা সিপিইউ বাজেয়াপ্ত হয়নি। এদিন রাজীব কুমারের গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ সংক্রান্ত মামলায় এমনই প্রশ্ন তুললেন CBI-এর আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর।

ওদিকে, এদিন হঠাৎই রাজীব কুমারের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের আদালতকক্ষে থাকা নিয়ে আপত্তি জানান। বিচারপতি মধুমতী মিত্রকে তিনি বলেন, আদালতের সওয়ালের পর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবাদমাধ্যমের হাত ধরে বাইরে চলে যাচ্ছে। আমার মক্কেলের সামাজিক জীবনে এর প্রভাব পড়ছে। বিচারপতি এর জবাবে বলেন, দুই তরফের আইনজীবী এব্যাপারে সহমত হলেই একমাত্র সাংবাদিকদের আদালতকক্ষে ঢোকায় বিধিনিষেধ আরোপ সম্ভব। নতুবা আদালতে পেশ করা যুক্তি-তথ্য প্রকাশের অধিকার সংবাদমাধ্যমের আছে। মঙ্গলবার রাজীব কুমার মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন CBI-এর আইনজীবী।

এদিন CBI-এর আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর বলেন, 2017 সালের 19 অক্টোবর CBI রাজীবকে প্রথম তলব করে। পুজোর নিরাপত্তায় ব্যস্ত আছেন বলে জানিয়ে হাজিরা এড়ান কলকাতার তৎকালীন পুলিস কমিশনার। পালটা চিঠিতে তিনি বাড়ি গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অনুরোধ করেন তিনি। CBI অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজীব কুমারের বাড়ি গেলে তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় কলকাতা পুলিস।

এদিন রাজীব কুমারের রক্ষাকবচের মেয়াদ আরও এক দিন বাড়িয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন-সিগনেচার গোঁফ উধাও কেন, নিউ-লুকে তোলপাড় অনুরাগীরা