প্রমাণ নেই, বেকসুর খালাস মমতার উপর হামলাকারী লালু আলম

সেদিনের হাজরা মোড়ের ছবি

তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলায় মূল অভিযুক্ত সে সময়কার সিপিএম নেতা লালু আলমকে বেকসুর খালাস করে দিল আদালত। সাক্ষীর অভাবে তার দোষ প্রমাণিত হয়নি বলেই জানিয়েছেন মামলার বিচারপতি।

কী ঘটেছিল সেদিন? বাম জমানায়1990 সালের 16 অগাস্ট, সেদিন প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকা বনধের সমর্থনে হাজরা মোড়ে রাস্তায় নেমেছিলেন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বনধ বিরোধিতায় পথে নেমেছিলেন সিপিএম নেতা লালু আলম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। বনধ তুলতে হাজরা মোড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর লালু আলম ও তার অনুগামী সিপিএম সমর্থকরা চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় বাঁশের দিয়ে মারা হয় বলেও অভিযোগ। লালু আলম নিজেই মমতার উপর হামলা করেছেন বলে অভিযোগ ছিল। গুরুতর আহত হয়েছিলেন মমতা। সেই ঘটনা মমতার রাজনৈতিক জীবনে এক অন্যমাত্রা যোগ করেছিল বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

ঘটনার দীর্ঘ 28 বছর পর এই মামলার চার্জ গঠন হয়।সাক্ষ্যদানও সম্পূর্ণ হয়। তবে অভিযুক্ত লালু আলমের আইনজীবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। ফলে মূল বিচারপ্রক্রিয়া শুরুই করা যায়নি।

2018 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখমন্ত্রী হওয়ায় ব্যস্ততার দরুণ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মামলার সাক্ষ্য দেবেন বলে ঠিক হয়। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে তা শেষ পর্যন্ত আর হয়নি।

এরপর সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় আদালতকে চিঠি দিয়ে জানান, 29 বছর ধরে এই মামলা চলছে। এই মামলার ভবিষ্যৎ কী? এই মামলা থেকে সরকার নিষ্কৃতি পেতে চায়। তারই ফলস্বরূপ বৃহস্পতিবার আদালত এই মামলায় লালু আলমকে বেকসুর খালাস করে দেয়।

আরও পড়ুন-বাংলায় NRC হবেই,বাদ যাবে দু’কোটি,স্পষ্ট জানালেন দিলীপ ঘোষ

 

Previous articleবাংলায় NRC হবেই,বাদ যাবে দু’কোটি,স্পষ্ট জানালেন দিলীপ ঘোষ
Next articleNKDA-র হেল্পলাইন নম্বর বিপুল সাড়া