একনজরে যাদবপুরে “হোক কলরব” পার্ট-2: জানুন সব পক্ষের মতামত

ফের উত্তাল দেশের অন্যতম এলিট ক্লাস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বাম ছাত্র সংগঠন বনাম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও এবিভিপি। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত ছিল। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। হেনস্তা-ধস্তাধস্তি-কটুক্তি- শ্লীলতাহানি ইত্যাদি ইত্যাদি কিছুই বাদ ছিল না। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার থানা-পুলিশ, মিছিল, বিক্ষোভ কিছুই বাদ ছিল না।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক দিনভর কী হলো। দেখে নেওয়া যাক সব পক্ষের বক্তব্য–

1) এদিন দুপুর 12টা নাগাদ যাদবপুর থানায় দুটি ভাগে অভিযোগ জানাতে আসেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের বামপন্থী মনোভাবাপন্ন পড়ুয়ারা। নির্দিষ্ট কারও নামে অভিযোগ করেনি তাড়া। তবে বৃহস্পতিবার ঝামেলার মধ্যে তাদের কিছু জিনিস খোয়া গিয়েছিল। সেই কারণেই অভিযোগ জানাতে আসা। অন্যদিকে, ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে এবিভিপি-এর বিরুদ্ধে কলেজের সম্পত্তি নষ্ট করা অভিযোগ জানানো হয়।

2) দুপুর সাড়ে 12টা নাগাদ পাল্টা অভিযোগ জানাতে আসেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। অগ্নিমিত্রা তাঁর সঙ্গে যা যা হয়েছে তা নিয়ে এফআইআর করেন। তবে এক্ষেত্রেও নিৰ্দিষ্ট করও নাম দেননি তিনি। জানিয়েছেন, তাঁর শাড়ি ছেঁড়া হয়, শ্লীলতাহানি করা, জোর করে আটকে রাখা এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ।

3) দুপুর 1টা নাগাদ SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য্য-এর নেতৃত্বে ঢাকুরিয়া থেকে যাদবপুর 8B বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপির প্রতি নিন্দা প্রদর্শন করা হয়।

5) একইভাবে ধর্মতলায় বিজেপি ও গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পাল্টা মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয়। সেখান থেকে “মারের বদলা মার” স্লোগান ওঠে। যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয় মাওবাদীদের আখড়া বলে দাবি করা হয়।

6) বিকেল 4টা নাগাদ এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের AGS উশশী পাল। ABVP কীভাবে তান্ডব চালিয়েছে union room-এ তা দেখান। এবং অভিযোগ করে বলেন, বাবুল সুপ্রিয় তাদের এক মহিলা পড়ুয়াকে আক্রমণ করার পর ঝামেলার সূত্রপাত।

7) বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ সেন্ট্রাল এভিনিউয়ে বিজেপি অফিসে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অগ্নিমিত্রা পলকে পাশে বসিয়ে সংবাদিক বৈঠক করেন। এবং বামপন্থী ও অতি বামপন্থীদের চরম হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ ঘোষ। তিনিও মারের বদলা পাল্টা মারের হুমকি দেন। পাশাপাশি, যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর ব্যাখ্যা, যেভাবে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় মহিলাদের এগিয়ে দিয়ে বাবুলকে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয়েছে, তা ভদ্র সমাজের ভালো পরিবারের মেয়েদের মানায় না। এবং এটা মাওবাদী স্টাইল। এই কায়দাতেই বাবুলের চরিত্রহননের চেষ্টা হয়েছিল বলে দাবি রাজ্য বিজেপি সভাপতির।

Previous articleবিরাটদের অনুশীলনে দ্রাবিড়
Next articleমার্কোসের গোলে জয় পেয়ে লিগের দৌড়ে টিকে রইল ইস্টবেঙ্গল