মূর্ত-বিমূর্তের সন্ধিক্ষণ এবার দমদমপার্ক ভারতচক্রে

কোনও জিনিস যা আপনি বুঝতে পারেন, তা আপনার কাছে মূর্ত। আবার সেই জিনিসটাই যদি অন্য কেউ বুঝতে না পারে, তাহলে সেটা তার কাছে হবে বিমূর্ত। আসলে সবটাই মানুষের চেতনা ও শিক্ষার ওপর নির্ভর করে। পৃথিবীর সবকিছুই আসলে মূর্ত। বিমূর্ত বলে নাকি কিছুই হয় না।এমনই দাবি করেছেন শিল্পী পূর্ণেন্দু দে এবং তাঁর সেই দাবি তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন দমদমপার্ক ভারতচক্রের মন্ডপসজ্জায়।

প্রায় তিন মাস ধরে চলছে এই মন্ডপ তৈরির কাজ। এখনও প্রায় দশ দিন কাজ বাকি। উত্তর কলকাতার সেরা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম পুজো হল, দমদমপার্ক ভারতচক্র। বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন পুরস্কারের সেরার তালিকায় এই পুজো মণ্ডপের নাম উঠে আসে। আর তাই এবার শিল্পী পূর্ণেন্দু দের হাত ধরে প্রাচীন যুগ থেকে চলে আসা মূর্ত-বিমূর্তের সন্ধিক্ষণকে এবার মণ্ডপসজ্জায় তুলে ধরা হয়েছে।

এই থিম প্রসঙ্গে দমদমপার্ক ভারতচক্র পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অর্জুন গুন বলেন, মূর্ত বা বিমূর্ত পুরো ব্যাপারটাই মানুষের ওপর নির্ভর করে। ধরুন, একটা  স্বস্তিক চিহ্ন যদি আপনার কাছে মূর্ত হয়, একজন বিদেশিনীর কাছে সেটা কিন্তু বিমূর্ত। কারণ, তিনি চিহ্নটা কী বা এর সম্বন্ধে কিছুই জানেন না। তো তখনই আপনার কাছে জানা সস্ত্রীক চিহ্নটা তার কাছে বিমূর্ত হয়ে উঠবে। আসলে পুরো ব্যাপারটাই একটা চেতনার অভাব ও সেই চেতনাকেই শিল্পী পূর্ণেন্দু দে এমন মন্ডপসজ্জার মাধ্যমে সকলের মনে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন।’

জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের রঙ-বেরঙের কাগজ দিয়ে এই মন্ডপ তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে কিছু কাগজকে বিদেশ থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে। এমনকি মণ্ডপসজ্জার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তৈরি হয়েছে প্রতিমা। আর মা দূর্গার অস্ত্রতেও দেখা যাবে বিভিন্ন কাগজের ছোঁয়া। মূলত, বিভিন্ন ধরনের কাগজের আকৃতি দিয়ে এই থিমকে সকলের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন শিল্পী পূর্ণেন্দু দে। সব মিলিয়ে এবারের পুজোয় দমদমপার্ক ভারতচক্র এক অভিনব থিম সকলের সামনে তুলে ধরতে চলেছেন, তা বলাই যায়।

ছবি- প্রকাশ পাইন

Previous articleএন আর সি : অভিষেকের ভূমিকায় চাঙ্গা তৃণমূল কোমর বেঁধে নামছে
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ