মহালয়ার সাতদিন আগেই শারোদৎসবে মেতে ওঠে শেওড়াফুলি রাজবাড়ি

পুজো আসতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। শনিবার মহালয়া। কিন্তু তার আগেই বা বলা ভাল মহালয়ার সাতদিন আগে কৃষ্ণনবমী তিথি মেনে বোধন দিয়ে শুরু হয় হুগলীর শেওড়াফুলি রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। মঙ্গলঘট বসিয়ে চণ্ডীপাঠ দিয়ে শুরু হয় রাজবাড়ির মা সর্বমঙ্গলা দেবীর আরাধণা।

প্রতি বছরের মতো বোধনের দিন পরিবারের সকলে একত্রিত হয়ে ইলিশ মাছ, পরোটা রান্না করে খান। সেইদিন রাজবাড়িতে কোনও অন্ন হয় না।

আরও পড়ুন – ঐতিহ্য, সাবেকিয়ানা, নিষ্ঠা আর সৌভ্রাতৃত্বের মিশেল 300 বছরের প্রাচীন চৌধুরী বাড়ির পুজো

সর্বমঙ্গলা দেবী দশভূজা। তবে কার্তিক ও সরস্বতী থাকেন না। চালের নৈবেদ্য, ফল, মিষ্টি, লুচি সহ বিভিন্ন পদের ভাজা ও দুধ দেওয়া হয় প্রসাদ হিসাবে। কোনও অন্ন ভোগ দেওয়া হয় না দেবীকে। মন্দিরের গর্ভগৃহে পূজারী ছাড়া পরিবারের পুরুষ ও মহিলা কেউ প্রবেশ করতে পারেন না। আগে সন্ধীপুজোয় মহিষ বলি হলেও বর্তমানে চালকুমড়ো ছাড়া আর কিছু বলি হয় না।

বিসর্জনের দিন দেবীর ঘট বিসর্জন হয়। তাই বিসর্জনের পরেও পরিবারের কোনও দুঃখ থাকে না সদস্যদের। হুগলীর শেওড়াফুলি এই রাজবাড়ির আরাধ্দেযা দেবীকে দেখতে পুজোর দিনগুলিতে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যুরিজ্যম’ ও ‘সেন্ট্রাল ট্যুরিজ্যম’ থেকে দর্শনার্থীদের নিয়ে আসা হয়। ইতিমধ্যে বেসরকারি 15 টি ট্যুরিজ্যম সংস্থা যোগাযোগ করেছে এবারের পুজো দেখতে রাজবাড়িতে দর্শনার্থীদের নিয়ে আসার জন্য। সব মিলিয়ে এক অনন্য শারদীয়া উপভোগ করে এই এলাকার লোকজনেরা, তা বলাই যায়।

আরও পড়ুন – তাঁতির ঘর থেকে সরাসরি শাড়ি গড়িয়াহাটের ‘আপণে’

Previous articleঐতিহ্য, সাবেকিয়ানা, নিষ্ঠা আর সৌভ্রাতৃত্বের মিশেল 300 বছরের প্রাচীন চৌধুরী বাড়ির পুজো
Next articleঅভিষেক হাল ধরার যোগ্য হয়ে উঠছে, কুণাল ঘোষের কলম