যোগী রাজ্যে সব অভিযোগ থেকে মুক্ত চিকিৎসক কাফিল খান

সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন গোরক্ষপুরের চিকিৎসক কাফিল আহমেদ খান।যদিও এই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে 2 বছর পেরিয়ে গেল। গোরক্ষপুরের সরকারি হাসপাতালে 63 জন শিশুর মৃত্যুতে মূল অভিযোগ উঠেছিল চিকিৎসক কাফিলের বিরুদ্ধেই। ওই ঘটনার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা কমে যাওয়ার জন্য পুরো দায়টাই কাফিলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়। যে উত্তরপ্রদেশ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল, সেই রাজ্য সরকারের রিপোর্টেই তাঁকে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, 2017 সালে 10 এবং 11 অগাস্ট গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছিল 63 জন শিশুর। ওই হাসপাতালেই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন কাফিল খান।এরপরেই বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় অসুস্থ হয়ে পড়া শিশুদের কোলে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন খান। আর এর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার।

সরকারের রিপোর্টে বলা হয়, নিজের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রয়োজনেই সরকারি হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরিয়ে নিয়েছেন কাফিল। এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি কর্তব্যে গাফিলতিরও অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করার পরেই হাজতে পাঠানো হয় খানকে। আট মাস জেলে থাকার পর 2018-এর এপ্রিলে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পান কাফিল। আদালত জানায়, গাফিলতির কোনও প্রমাণ খানের বিরুদ্ধে তারা পায়নি।চলতি বছরের এপ্রিলেই সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেন তদন্তকারী আইএএস অফিসার হিমাংশু কুমার।

কী বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে? তদন্ত রিপোর্ট জানাচ্ছে, কাফিল খান কর্তব্যে অবহেলা দেখাননি। তিনি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়াতেও যুক্ত ছিলেন না। অক্সিজেন যে বাড়ন্ত তাও কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। তদন্ত রিপোর্টে এ-ও বলা হয়েছে, বিপর্যয়ের সময় নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে হাসপাতালের সাতটি অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করেছিলেন চিকিৎসক কাফিল খান। তবে, সরকার প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে দেওয়া সত্ত্বেও তিনি 2016 সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত তা চালু রেখেছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

আরও পড়ুন-পাওয়ার ইডি দফতরে যাওয়ার আগেই ইডির ফোন তাঁর কাছে! কিন্তু কেন?

Previous articleরবিবার থেকে বাস চলাচল বন্ধ টালা ব্রিজে
Next articleশনিবার সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভা