161 আর 120(বি), মুকুলের দুই ফাঁড়া

161 অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ধৃত আইপিএস মির্জা যদি মুকুলের বিরুদ্ধে বয়ান দেন এবং মুকুলের জবাবে যদি অসঙ্গতি থাকে; তাহলে তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের স্বার্থে মুকুলকে গ্রেপ্তার করতে পারে।

আর 120(বি) তে, শর্মিলা যে যে ধারায় গ্রেপ্তার, তদন্তকারীরা যদি মনে করেন মুকুল গোটা বিষয়টা জানতেন বা ছিলেন, তাহলে ঐ ধারায় মির্জার সহযোগী হিসেবে গ্রেপ্তার হতে পারেন।

সেক্ষেত্রে, মুকুল যদি তৃতীয় কারুর নাম বলে বোঝাতে যান টাকা তার কাছে গেছিল, মুকুল নিজেও 120(বি) তে জড়ানোর দরজা খোলা থাকে। তবে সেটা তদন্তকারীদের বিষয়।

একমাত্র মুকুল যদি বিশ্বাসযোগ্যভাবে মির্জার বয়ানে তাঁর নামের প্রসঙ্গগুলি পুরো অস্বীকার করতে পারেন, তাহলেই তিনি খানিকটা সামলাতে পারবেন। অথবা দিল্লির কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তাঁকে বাঁচাতে পারে।

মির্জা যদি আদৌ সত্যি মুকুলকে জড়িয়ে বয়ান দিয়ে অনঢ় হয়ে বসে থাকেন, তাহলে মুকুলের চাপ বাড়বে।
তবে পুরনো সুসম্পর্কের জেরে মির্জা যদি মুকুল থেকে একটু সরে অন্যদিকে বয়ানের মুখ ঘোরান, মুকুল লড়াই করার সুযোগ পাবেন।

এগুলো আইনের কথা। তবে তার ঊর্ধ্বে যদি রাজনীতি থাকে, তাহলে মুকুলকে বিজেপি বিপদে ফেলবে না, এমন আশা করা যেতে পারে।

মুকুলশিবিরের বক্তব্য, মুকুল ঠিকই এই জটিলতা কাটিয়ে বেরিয়ে আসবেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোন কিছুই প্রমাণিত হবে না। সিবিআই গ্রেপ্তার করার প্রশ্নই নেই।

Previous articleসিবিআই বিপদে ফেললে বিজেপি ছাড়বেন মুকুল?
Next articleমুকুল গড়ে ভাঙন, পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে ফিরলেন 100 কর্মী